
ছবি: সংগৃহীত
সিরিয়ায় একটি ধর্মীয় অবমাননাকর অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়াকে কেন্দ্র করে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সুন্নি ও দ্রুজ সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। সিরিয়ার দ্রুজ অধ্যুষিত শহরগুলো ও আশপাশের এলাকায় সহিংসতা ও সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে, যা সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে প্রেসিডেন্ট বাসভবনের কাছে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছে, যা নতুন করে উদ্বেগ ও নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করেছে দেশটির প্রশাসনের জন্য।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, দ্রুজ সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দিতে এবং সিরিয়ার সেনা মোতায়েনকে হুঁশিয়ারি দিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, দক্ষিণ দামেস্কে সিরীয় সেনাদের তৎপরতার বিরুদ্ধে এটি একটি ‘সতর্কবার্তা’।
এদিকে, সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডার আম্মার আল হারিরি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “সুইদা অঞ্চল আমাদের দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেখানে সেনা মোতায়েন আমাদের সার্বভৌম অধিকারের মধ্যে পড়ে। দেশের অভ্যন্তরে চলাফেরার জন্য আমাদের কাউকে জবাবদিহি করতে হবে না।”
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই মনে করছেন, ইসরায়েল দ্রুজ সম্প্রদায়ের নিরাপত্তাকে ‘অজুহাত’ বানিয়ে সিরিয়ার অভ্যন্তরে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে এবং এভাবে সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে হাতে নিতে চাইছে। অনেক বাসিন্দা আরব দেশগুলোর নিরবতার সমালোচনা করে বলেন, “ইসরায়েল বারবার আমাদের আক্রমণ করছে, অথচ আরব রাষ্ট্রনেতারা নিশ্চুপ। তারা প্রতিবাদ করতেও ভয় পান।”
সহিংসতা ও উত্তেজনা ঠেকাতে সিরীয় প্রশাসন দ্রুজ অধ্যুষিত সুইদা অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। তবে সংঘর্ষের আশঙ্কায় ইতোমধ্যেই হাজারো মানুষ এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে।
সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ অবস্থা আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, এবং এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক সহায়তা ও কূটনৈতিক হস্তক্ষেপই পারে এই সংকটকে কিছুটা হলেও প্রশমিত করতে।
ফারুক