
ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি কাশ্মীরে চালানো সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারত-পাকিস্তান বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়বে না বলে বৃহস্পতিবার (১ মে) আশা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। তিনি পাকিস্তানকে অনুরোধ করেছেন যাতে তারা ভারতের সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করে এবং পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।
ভ্যান্স বলেন, ‘আমাদের আশা, ভারত এই সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়া এমনভাবে করবে যা আঞ্চলিক সংঘর্ষে পরিণত না হয়। এ ঘটনায় পাকিস্তানের যদি কোনো দায় থাকে, তবে তারা ভারতকে সহযোগিতা করবে যাতে সন্ত্রাসীরা ধরা পড়ে এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নেতারা এই হামলাকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ এবং ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন, যাদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও রয়েছেন। তবে তারা সরাসরি পাকিস্তানকে দোষারোপ করেননি।
ভারত বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী দেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, কারণ ওয়াশিংটন চীনের উত্থানে ঈর্ষান্বিত। পাকিস্তান এখনও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হলেও, ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পর পাকিস্তানের গুরুত্ব যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনেকটাই কমে গেছে।
কাশ্মীর হামলার জন্য ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। তবে ইসলামাবাদ এ দায় অস্বীকার করে একটি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করছে। সম্প্রতি ওয়াশিংটন ভারত এবং পাকিস্তানকে একে অপরের সঙ্গে কাজ করতে এবং উত্তেজনা প্রশমিত করে একটি ‘দায়িত্বপূর্ণ সমাধান’ এ পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তারা পারমাণবিক শক্তিধর এই এশীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে একাধিক স্তরে যোগাযোগ রেখেছে এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বুধবার ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।
হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন এবং জয়শঙ্কর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিওকে বলেছেন যে, অপরাধীদের বিচার করা উচিত।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের সম্পূর্ণ অধিকার দাবি করে ভারতের হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং পাকিস্তানের ইসলামিক সরকার। দুই দেশ কাশ্মীরের উপর বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধ করেছে এবং প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব অংশ নিয়ন্ত্রণ করে।
কাশ্মীর হামলার পর, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পরিস্থিতি দিন দিন উত্তপ্ত হচ্ছে। ভারত পাকিস্তানের সাথে নদীর পানি বণ্টন সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্থগিত করেছে এবং দুই দেশই একে অপরের আকাশ সীমা বন্ধ করেছে, নিজেদের সীমান্তে একে অপরকে লক্ষ্য করে গুলি বিনিময়ও করছে।
সূত্র: https://www.scmp.com/
রাকিব