
ছবিঃ সংগৃহীত
সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন নতুন মাত্রা পেয়েছে। রাজধানী দামেস্কসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ধারাবাহিকভাবে হামলা চালাচ্ছে তেলআবিব, যার ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ইসরাইলের দাবি, দ্রুজ সম্প্রদায়কে রক্ষার উদ্দেশ্যে এসব হামলা চালানো হচ্ছে। তবে বাস্তবতা ভিন্ন — দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) সেনা মোতায়েনসহ একাধিক এলাকায় বোমা হামলা চালানো হয়েছে।
দামেস্কের সামরিক ও প্রশাসনিক কেন্দ্রগুলোর নিকটবর্তী এলাকাতেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এমনকি প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রাসাদের কাছাকাছি এলাকাও রেহাই পায়নি। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক চরমে উঠেছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, গাজার মতো মানবিক বিপর্যয় সিরিয়াতেও তৈরি হতে পারে।
সম্প্রতি দামেস্কে দ্রুজ ও সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে। এর জেরে আরও কঠোর হামলার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও সীমান্তবর্তী এলাকায় আইডিএফ-এর উপস্থিতি বাড়ছে, যার ফলে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন সিরিয়ার নাগরিকরা।
এই সংকটময় পরিস্থিতিতে সিরিয়ার সাধারণ মানুষ বিশ্বের মুসলিম দেশগুলো, বিশেষ করে ইরান, লেবানন ও কাতারের প্রতি সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। তাদের ভাষায়, “আমাদের দেশে ইসরাইলের বর্বরতা প্রতিহত করার মতো কোনো সামরিক শক্তি নেই—না বিমান, না ক্ষেপণাস্ত্র। আমরা সম্পূর্ণ অসহায়। এই অবস্থায় আরব দেশগুলো যদি এগিয়ে না আসে, তবে খুব দ্রুতই নিঃশেষ হয়ে যাব।”
ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আরব নেতাদের নিরবতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিরিয়ানরা। তারা বলছেন, “আরব বিশ্বের প্রভাবশালী নেতারা চুপ করে আছেন। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও প্রকাশ্যে ইসরাইলকে সমর্থন দিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশ্রয় পেয়েই ইসরাইল আগ্রাসী হয়ে উঠেছে।”
জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক নিরবতার মধ্যে সিরিয়ার মানুষ এখন শান্তি ও স্বাভাবিক জীবনের প্রত্যাশায় তাকিয়ে আছেন বিশ্বের দিকে।
মারিয়া