ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২

ইসরায়েলের পরিণতিই কি এই আগুন?

প্রকাশিত: ২০:০০, ৫ মে ২০২৫

ইসরায়েলের পরিণতিই কি এই আগুন?

ছবিঃ সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার নতুন নাম এখন ইসরায়েল। যুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আন্তর্জাতিক সমালোচনার মাঝে দাঁড়িয়ে দেশটি এক গভীর সংকটে পড়েছে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ ২০২৩ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকা সহিংসতার নতুন রূপ পেয়েছে। হাজার হাজার বোমা গাজায় বর্ষিত হয়েছে। এতে নিহত হয়েছে বহু নিরীহ নারী-শিশু, ধ্বংস হয়েছে আবাসিক এলাকা। যুদ্ধের মানবিক মূল্য ইসরায়েলের ভাবমূর্তি ও আন্তর্জাতিক সমর্থনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

এদিকে পবিত্র কুরআনে যে ভবিষ্যদ্বানী দেওয়া আছে, এই আগুনকে তারই প্রতিফলন বলে মনে করছেন অনেকে। এছাড়াও রাসূল (সঃ) নিজেও বলেছিলেন কেয়ামতের আগেই অত্যাচারিরা মুসলিম বাহিনীর কাছে পরাজয় বরণ করবেন। তাই সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, এই আগুন কি সেই বাণীরই প্রতিফলন কি না?

অন্যদিকে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এমনকি মার্কিন জনগণের একটি বড় অংশ ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনায় সরব। দখলদারিত্ব, শিশু হত্যাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলের উপর চাপ বাড়ছে। আইসিজে-তে বিচার চলছে এবং বিশ্বমাধ্যমে ইসরায়েল অনেকটাই কোণঠাসা।

নেতানিয়াহুর সরকার অভ্যন্তরীণভাবে ব্যাপক চাপের মুখে। বিচার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাসহ দুর্নীতির অভিযোগে তার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা কমেছে। জনগণের একাংশ সড়কে বিক্ষোভ করছে, ফলে দেশটির গণতান্ত্রিক কাঠামোও নড়বড়ে। যুদ্ধের প্রভাব ইসরায়েলের অর্থনীতিতেও পড়ছে। পর্যটন, প্রযুক্তি খাত ও বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদে এই যুদ্ধ দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

"আগুন" শুধু ইসরায়েলের যুদ্ধনীতিকে বোঝায় না, বরং এটি একটি প্রতীক—যেখানে অতি-জাতীয়তাবাদ, দখলদারিত্ব, মানবিক সংকট ও আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা একসাথে মিলে একটি ধ্বংসের পথে এগিয়ে চলেছে। ইসরায়েল যদি এ আগুন নিভাতে ব্যর্থ হয়, তবে ভবিষ্যতে দেশটি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, অভ্যন্তরীণভাবে ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতেও পড়তে পারে।

সূত্রঃ https://youtu.be/NgtP87HHGIw?si=LMAtYtKrcc7DkJIw

 

আরশি

×