একটুও বসার সময় নেই, আমাকে দৌড়াতে হবে।
এক একটা সূর্যোদয় যত পথ যায় আমাকে ততটা যেতে হবে।
রাস্তায় নোঙর ফেলে যারা বসে থাকে তারা কেউ সন্ন্যাসী হয়
কেউ ভাবুক হয়, তারা দৌড়ানো ভুলে যায়।
অহল্যার শাপগ্রস্ত পিঠের ওপর দিয়ে আমি দৌড়ে গেছি।
আমি দৌড়েছিলাম বুদ্ধের সামনে সুজাতাকে দেখতে পেয়ে।
অহল্যার মুখ আমি দেখিনি, দেখেছিলাম শুধু পাষাণ পিঠ।
সুজাতার মুখ আমি দেখিনি, দেখিনি ধ্যানমগ্ন বুদ্ধের মুখ।
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শেষে অজস্র মৃতদেহ মাড়িয়ে আমি দৌড়ে গেছি
অথচ কুরুক্ষেত্রে কোন সন্তানহারা বা বিধবার মুখ আমি দেখিনি।
কখনো কখনো শশব্যস্ত শিয়ালরা পালিয়ে যায় আমার পাশ দিয়ে
অথচ তাদের কারো মুখ আমি দেখিনি। কখনো কখনো শান্ত চাঁদরাত
নির্মল আলো ফেলে আমার শরীরে- অথচ সে চাঁদের মুখ আমি দেখিনি।
আমি আসলে কেন দেখতে পাইনে সে জিজ্ঞাসাও নেই আমার।
কেউ কি বলবে আমিও কোন শাপগ্রস্ত! যে দেখেনি নিজের পদ্মাবতীকেও।