ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

এখনো পানিবন্দী দুই লাখ মানুষ 

নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী

প্রকাশিত: ২১:৫০, ১২ জুলাই ২০২৫

এখনো পানিবন্দী দুই লাখ মানুষ 

বৃষ্টি না থাকায় নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো শহরের অনেক সড়ক ও বাসাবাড়ি পানিতে ডুবে আছে। সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষ জানিয়েছে, জেলা সদর, সুবর্ণচর, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, হাতিয়া, সেনবাগসহ নোয়াখালীর প্রায় দুই লাখ মানুষ পানিবন্দী।
 
শনিবার সরেজমিনে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী কোর্টের লক্ষ্মীনারায়ণপুর, কলেজপাড়া, পূর্ব মাইজদী, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা জজ আদালত সড়ক, সেন্ট্রাল রোড, দরগাবাড়ি ও মাইজদী পৌর বাজার এলাকা ঘুরে দেখা হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, এসব এলাকায় সড়কে পানি জমে আছে। তবে পানি কিছুটা কমেছে।

পূর্ব মাইজদী এলাকার বাসিন্দারা বলেন, তাঁদের বাড়ির ভেতরে কিছু ঘরেও পানি ঢুকে পড়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি না হওয়ায় পানি অনেকটা কমেছে। তবে এখনো প্রায় এক ফুট পানি বাড়ির উঠানে ও চলাচলের পথে। আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই তাঁদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে জানান তারা।

শহরের হাকিম কোয়ার্টার সড়ক দিয়ে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন অটোরিকশাচালক হাসান। তিনি বলেন, সড়কটি প্রায় পাঁচ দিন হাঁটুপানিতে ডুবে ছিল। এ কারণে সড়কটি দিয়ে যাত্রী পরিবহন করা যায়নি। শনিবার পানি কমায় যাত্রী নিয়ে এসেছেন। এখনো ভাঙাচোরা সড়কটির অনেক স্থানে পানি জমে আছে। চলতে হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।

নোয়াখালীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের উচ্চ পর্যবেক্ষক এম. আজরুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে উল্লেখ করার মতো কোনো বৃষ্টি হয়নি। আপাতত ভারী বৃষ্টিরও সম্ভাবনা নেই। তবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।

নোয়াখালীর ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান বলেন, শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জেলার ৬টি উপজেলায় ৪৬ হাজার ৭০টি পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। এসব পরিবারের সদস্যসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৯২ হাজার। নোয়াখালীর ৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্র্রে ১ হাজার ৮৫০ জন আশ্রয় নিয়েছেন। জলাবদ্ধতা ও বন্যায় ৪৬টি কাঁচাঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আঁখি

×