
ছবিঃ সংগৃহীত
ইসবগুল একটি প্রাকৃতিক ভেষজ যা পেটের নানা সমস্যা দূর করতে যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি মূলত প্ল্যান্টাগো ওভাটা (Plantago ovata) গাছের বীজের খোসা থেকে তৈরি হয়। ইসবগুলের প্রধান উপাদান হলো ফাইবার, যা হজম ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তবে এর উপকার পেতে হলে সঠিক নিয়মে খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
কখন খাবেন ইসবগুল?
পেট পরিষ্কার করতে: সকালে খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১-২ চামচ ইসবগুল মিশিয়ে খেতে পারেন।
ডায়রিয়া হলে: এক গ্লাস টক দইয়ে ১ চামচ ইসবগুল মিশিয়ে খেলে উপকার মিলবে।
কব্জ হলে (কোষ্ঠকাঠিন্য): রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে ১-২ চামচ ইসবগুল খাওয়া যেতে পারে।
গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটি: খাওয়ার আধা ঘণ্টা পরে এক গ্লাস পানির সঙ্গে ইসবগুল খেলে অ্যাসিড কমে আরাম মেলে।
কিভাবে খাবেন?
১. ১-২ চা চামচ ইসবগুল ১ গ্লাস পানিতে মিশিয়ে দ্রুত খেয়ে ফেলুন। এরপর সঙ্গে আরও পানি খাওয়া জরুরি।
২. ইসবগুল দুধ, টক দই কিংবা লেবুর শরবতের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াও যায়। তবে কোনোভাবেই শুকনা অবস্থায় ইসবগুল খাওয়া যাবে না, এতে গলায় আটকে যেতে পারে।
কোন সময় না খাওয়াই ভালো?
যারা দীর্ঘ সময় ধরে ওষুধ খাচ্ছেন (বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক বা আয়রনের ওষুধ), তারা ইসবগুল খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে, তাই সতর্কতা প্রয়োজন।
শিশুদের ও গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ইসবগুল খাওয়া ঠিক নয়।
উপকারিতা এক নজরে:
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- হজম শক্তি বাড়ায়
- ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
- রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
- ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী
শেষ কথা:
ইসবগুল যতই উপকারী হোক না কেন, অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। প্রতিদিন ১-২ চা চামচই যথেষ্ট। সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। নিয়ম মেনে খেলে এটি হতে পারে আপনার প্রাকৃতিক চিকিৎসার সঙ্গী।
আলীম