ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২

ডিজিটাল দুনিয়া থেকে মুক্তি চাচ্ছেন? প্রতিদিন মাত্র ১ ঘণ্টা!

প্রকাশিত: ০৯:২৯, ৪ জুলাই ২০২৫

ডিজিটাল দুনিয়া থেকে মুক্তি চাচ্ছেন? প্রতিদিন মাত্র ১ ঘণ্টা!

ছবি: সংগৃহীত

আজকের পৃথিবীতে প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে যেমন সহজ করেছে, তেমনি করেছে জটিল। দিনভর স্মার্টফোনে চোখ রেখে আমরা হারিয়ে ফেলছি বাস্তবতা, হারাচ্ছি ধৈর্য, ঘুম এবং মনোযোগ। এর বিপরীতে, ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ নামক এক সহজ জীবনচর্চা—মুক্তি এনে দিতে পারে মানসিক অস্থিরতা ও ক্লান্তি থেকে।

ডিজিটাল ডিটক্স মানে—এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রযুক্তি (বিশেষত স্মার্টফোন, সোশ্যাল মিডিয়া, ল্যাপটপ) থেকে নিজেকে দূরে রাখা। এটি একটি মানসিক বিশ্রাম যা আমাদের স্নায়ু, মন এবং ঘুমকে স্বাভাবিক করে তোলে।

কেন প্রয়োজন ডিজিটাল ডিটক্স?
অতিরিক্ত স্ক্রিনটাইম = মানসিক চাপ: সবসময় ফোনে ব্যস্ত থাকলে আমাদের ব্রেইন বিশ্রামের সুযোগ পায় না।

ঘুমের ব্যাঘাত: ফোনের নীল আলো (blue light) আমাদের মেলাটোনিন হরমোনকে দমন করে, ঘুম কমিয়ে দেয়।

সম্পর্কের দূরত্ব: ফোনে ডুবে থাকলে বাস্তব জীবনের সম্পর্কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

একাগ্রতা ও কর্মক্ষমতা হ্রাস: ক্রমাগত নোটিফিকেশন মনোযোগ নষ্ট করে, ফলাফল কমে যায় উৎপাদনশীলতা।

ডিজিটাল ডিটক্সের উপকারিতা: মানসিক প্রশান্তি ও স্বস্তি, ভালো ঘুম ও বিশ্রাম, সম্পর্কে ইতিবাচক পরিবর্তন, মনোযোগ ও মেমোরি বৃদ্ধি, শরীর ও মনের পুনরুজ্জীবন

কীভাবে করবেন ডিজিটাল ডিটক্স?
১. নির্দিষ্ট সময় ঠিক করুন: প্রতিদিন অন্তত ১-২ ঘণ্টা 'ফোন-মুক্ত সময়' রাখুন। যেমন: রাত ৯টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ফোন অফ বা সাইলেন্ট মোডে রাখা।

২. নির্দিষ্ট এলাকা 'ফোন-মুক্ত' রাখুন: যেমন খাওয়ার টেবিল, বিছানা, বা প্রার্থনার স্থান।

৩. বিকল্প খুঁজে নিন: বই পড়া, হাঁটাহাঁটি, গান শোনা বা প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলুন।

৪. অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ করুন: শুধুমাত্র দরকারি অ্যাপসের জন্য নোটিফিকেশন চালু রাখুন।

৫. পরিবার ও বন্ধুদের সময় দিন: রিয়েল লাইফ কানেকশনই আসল শান্তির উৎস।

আমরা যতো বেশি ডিজিটালি সংযুক্ত হচ্ছি, ততোই নিজেদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছি। প্রতিদিন মাত্র কিছু সময় ফোন থেকে দূরে থাকলেই আপনি টের পাবেন—কী এক অদ্ভুত প্রশান্তি ছিল আপনার নাগালের মধ্যেই। আজ থেকেই শুরু করুন ডিজিটাল ডিটক্স। নিজের জন্য, আপনার পরিবার, মস্তিষ্ক এবং শান্তির জন্য।

ফারুক

×