ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভোরবেলার মাত্র ৫ অভ্যাসেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে থাইরয়েড সমস্যা

প্রকাশিত: ০৯:৩১, ২৪ মে ২০২৫; আপডেট: ০৯:৩৪, ২৪ মে ২০২৫

ভোরবেলার মাত্র ৫ অভ্যাসেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে থাইরয়েড সমস্যা

ছবি: সংগৃহীত

থাইরয়েড সমস্যায় আক্রান্তদের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষদের তুলনায় মহিলারা এই রোগে দশগুণ বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। তবে প্রতিদিন সকালে কিছু সহজ অভ্যাস গড়ে তুললে এই সমস্যার প্রকোপ অনেকটাই কমানো সম্ভব বলে মত দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

গলা অঞ্চলের কলার হাড়ের কাছে অবস্থিত প্রজাপতি আকৃতির এই থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরে গুরুত্বপূর্ণ হরমোন নিঃসরণে ভূমিকা রাখে। হাইপোথাইরয়েডিজমে (হরমোন উৎপাদন কমে গেলে) ওজন বাড়ে, দুর্বলতা ও ক্লান্তি দেখা দেয়। আর হাইপারথাইরয়েডিজমে অতিরিক্ত হরমোন উৎপাদনের কারণে ওজন দ্রুত কমে যায়, দেখা দেয় আরও নানা জটিলতা। তবে আশার কথা হচ্ছে, প্রতিদিন সকালে মাত্র কয়েকটি অভ্যাস এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।

বিশিষ্ট আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডা. যতীন চৌধুরী জানিয়েছেন, ভোরবেলার ৫টি অভ্যাস পালনের মাধ্যমে থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব। এগুলো কী কীদেখে নেওয়া যাক:

১. হালকা রোদে সময় কাটান:

সকালে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সূর্যের আলো শরীরে পড়লে ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয়, যা থাইরয়েডের সঠিক কার্যক্রমের জন্য অত্যন্ত জরুরি। গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাইরয়েড সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।

২. নারকেল বা তিল তেলের ব্যবহার:

এক চা চামচ নারকেল অথবা তিলের তেল মুখে রেখে ১০-১৫ মিনিট ধরে কুলকুচি করে ফেলে দিন। এতে মুখগহ্বরের জীবাণু হ্রাস পায় এবং শরীরের প্রদাহ কমেযা থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

৩. যোগব্যায়াম ও ধ্যান:

প্রতিদিন সকালে যোগব্যায়াম বা ধ্যান করলে মানসিক চাপ কমে, যা থাইরয়েড রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বিশেষ করে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের ভারসাম্য থাকলে থাইরয়েড হরমোনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৪. ভেষজ চা:

তুলসী বা অশ্বগন্ধাযুক্ত ভেষজ চা দিয়ে দিন শুরু করলে মানসিক চাপ ও শরীরের প্রদাহ কমে। অশ্বগন্ধা থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও কার্যকর বলে মত চিকিৎসকদের।

৫. সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন:

প্রোটিন, আয়োডিন, জিংক ও সেলেনিয়ামসমৃদ্ধ খাবার থাইরয়েডের স্বাভাবিক কার্যকারিতায় সহায়ক। বিশেষ করে সকালে প্রোটিনযুক্ত নাস্তা থাইরয়েড রোগীদের জন্য উপকারী।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবনযাত্রায় কিছু সহজ পরিবর্তন এনে এই দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার প্রভাব কমানো সম্ভব। তাই ওষুধের পাশাপাশি প্রাত্যহিক এই অভ্যাসগুলো গড়ে তোলা জরুরি।

রাকিব

×