এমন কিছু মানুষ আপনার চারপাশে বসবাস করছেন, যাদের মানসিকতা সব সময় নেতিবাচক। এই ধরনের মানুষের সঙ্গ এড়িয়ে চলাই ভালো। মনে হতেই পারে, তেমন মানুষজনকে চিনবেন কীভাবে? তার কিছু উপায় আছে। কয়েকটি চরিত্রগত ও আচরণগত বৈশিষ্ট্য দেখে সহজেই চিহ্নিত করা যায়।
পরনিন্দা-পরচর্চা
আপনি কি এমন কারও সঙ্গে মিশছেন, যারা খুবই পরনিন্দা করেন? ভুলেও এদের ফাঁদে পা দেবেন না। এই ধরনের মানুষজন চূড়ান্ত নেতিবাচক। আপনাকে বিপদে ফেলতে পারেন।
অভিযোগ
ছোটখাটো ব্যাপারেও যারা অভিযোগ করেন, তাদের সঙ্গ এড়িয়ে চলাই ভাল। এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা কোনো ব্যাপারেই সন্তুষ্ট নন। এদের সান্নিধ্য মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
অযৌক্তিক সমালোচনা
ভারতীয় মনোবিজ্ঞানী অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, এমন কিছু মানুষজন আছেন, যারা সব সময় একপেশে বিচারবুদ্ধি নিয়ে চলেন। নিজের মানসিকতাকেই জাহির করার চেষ্টা করেন। তারা যে কোনো বিষয়েই সমালোচনা করতে ভালবাসেন। তাদের এড়িয়ে চলাই ভাল।
অতিরিক্ত অলস
অলস প্রকৃতির মানুষদের কাছে ঘেঁষতে দেবেন না। মনোবিজ্ঞানীর কথায়, এই ধরনের মানুষ কখনোই কোনো কাজে উৎসাহ দেখান না। তাদের বিমর্ষ মুখ চারপাশের মানুষজনের উপরেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
অহঙ্কারী ও স্বার্থপর মানসিকতা
অহঙ্কারী ও স্বার্থপর মানুষের সঙ্গ ত্যাগ করাই ভাল। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন বা সহকর্মী- কথায় কথায় যদি কেউ আপনাকে ছোট করেন, আপনার সব কাজে ভুল ধরেন ও সমালোচনা করেন, স্বার্থপর মনোভাব নিয়ে চলেন, তাহলে তাদের সঙ্গ এড়িয়ে চলাই ভাল।
বিদ্বেষপরায়ণ
তারা আপনার কত শুভাকাঙ্ক্ষী, কিন্তু আড়ালে আপনারই ক্ষতি করার চেষ্টা করতে থাকেন। দেখবেন, এমন মানুষরা সর্বদা আপনার খুঁত ধরবেন। আপনার প্রতিটা কথায় ব্যঙ্গ করবেন। প্রশংসা তাদের মুখে আসবেই না। যতই ভাল কাজ করুন অথবা তাদের উপকারও করুন না কেন, আপনার প্রশংসা কখনোই করবেন না তারা। এমন কী, কৃতজ্ঞতাও জানাবেন না। এদের থেকে সাবধান।
লক্ষ্যহীন বন্ধু
এমন মানুষজনের সঙ্গ ত্যাগ করুন, যাদের জীবনে কোনও লক্ষ্যই নেই। ছন্নছাড়া জীবন কাটান। কোনো কাজই লক্ষ্য নিয়ে করেন না। জীবনে উন্নতি করার কোনো আগ্রহই নেই। এমন সঙ্গ চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এসআর