
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর বাণিজ্য নীতি যেন এক সুতোয় বেঁধে দিচ্ছে রাশিয়া, চীন ও ভারতকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতি বিশ্বে নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত উচ্চ শুল্ক মোকাবেলায় বৈরিতা ভুলে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াচ্ছে এই তিন প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র।
ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি ৯০টিরও বেশি দেশের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করেছে। এর মধ্যে ভারতের ওপর আরোপিত শুল্কের হার সবচেয়ে বেশি—প্রায় ৫০ শতাংশ। পাশাপাশি রাশিয়া ও চীনের ওপরও দেওয়া হচ্ছে নিষেধাজ্ঞার হুমকি। এতে প্রশ্ন উঠেছে—শক্তিশালী অর্থনীতির এই দেশগুলোকে চাপে ফেলতে ট্রাম্পের পদক্ষেপ কতটা কার্যকর হবে?
ভারত এখন শুল্কের চাপ সামাল দিতে প্রতিবেশী চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে। সাত বছরের মধ্যে প্রথমবার বেইজিং সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাশিয়ার তেল কেনার অভিযোগে ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিলেও নয়া দিল্লি তেল কেনা বন্ধ করেনি, বরং রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করছে। চলতি বছরই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভারত সফরের কথা রয়েছে।
তিন দেশই অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসের সদস্য। এই জোটের আরেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ব্রাজিলের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে ভারত, যদিও দেশটির ওপরও উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। বিশ্লেষকদের মতে, অর্থনৈতিকভাবে সাময়িক চাপে পড়লেও এই দেশগুলো এখনো ওয়াশিংটনের কাছে নতি স্বীকার করেনি, বরং তাদের মধ্যে দূরত্ব কমছে।
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ট্রাম্পের এই ‘শুল্ক যুদ্ধ’ হয়তো ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোকেই আরও ঐক্যবদ্ধ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য গ্লোবাল সাউথকে চাপে রাখা হলেও, প্রতিপক্ষরা যদি একজোট হয়, তবে উল্টো এই বাণিজ্য যুদ্ধেই বিপাকে পড়তে পারে ওয়াশিংটন।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=sO3YzIOWpFk
রাকিব