ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৮ আগস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২

২০০ মিলিয়ন ডলারের বলরুম বানাতে নিজের বেতন দান করলেন ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৭:৩০, ৮ আগস্ট ২০২৫

২০০ মিলিয়ন ডলারের বলরুম বানাতে নিজের বেতন দান করলেন ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার (৬ আগস্ট) ঘোষণা করেছেন, তিনি একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি নিজের বেতন হোয়াইট হাউস সংস্কারের জন্য দান করেছেন। ট্রাম্প জানান, তার প্রথম পে-চেক হোয়াইট হাউস হিস্টোরিকাল অ্যাসোসিয়েশনকে দেওয়া হয়েছিল, যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ঐতিহাসিক ভবনে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন কাজ সম্পন্ন করা যায়।

ট্রাম্প বলেন, হোয়াইট হাউসে এখন এমন উন্নয়ন চলছে, যা এর প্রাথমিক নির্মাণের পর আর দেখা যায়নি। তবে ইতিহাস বলছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডি ও হার্বার্ট হুভারও নিজেদের বেতন দান করেছিলেন, ফলে ট্রাম্পের দাবি পুরোপুরি সত্য নয়।

এই ঘোষণা আসে এমন সময়ে, যখন হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি জানিয়েছেন যে, ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের স্টেট বলরুমের সংস্কারের খরচে সহায়তা করছেন। প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে তৈরি হতে যাওয়া এই বলরুম দীর্ঘদিনের স্বপ্নের বাস্তবায়ন হবে বলে জানান তিনি। লেভিট বলেন, “১৫০ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট, প্রশাসন এবং হোয়াইট হাউসের কর্মীরা এমন একটি বড় ইভেন্ট স্পেসের অপেক্ষায় ছিলেন, যেখানে বর্তমানে অনুমোদিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি অতিথি ধারণ করা যাবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভবিষ্যৎ প্রশাসন ও আমেরিকান জনগণের জন্য এই সমস্যার সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

মার্কিন ফেডারেল আইনে প্রেসিডেন্টের বাৎসরিক বেতন ৪ লাখ ডলার, সঙ্গে রয়েছে ৫০ হাজার ডলার খরচ ভাতা, ১ লাখ ডলার ভ্রমণ খরচ এবং ১৯ হাজার ডলার বিনোদন ভাতা। তবে রয়টার্সের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে ট্রাম্প তার আর্থিক বিবরণীতে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয়ের কথা উল্লেখ করেছিলেন। ক্রিপ্টোকারেন্সি, গলফ সম্পত্তি, লাইসেন্সিং চুক্তি ও অন্যান্য ব্যবসা থেকে তার সম্পদের মূল্য কমপক্ষে ১.৬ বিলিয়ন ডলার বলে অনুমান করা হয়।

হোয়াইট হাউস হিস্টোরিকাল অ্যাসোসিয়েশন একটি বেসরকারি অলাভজনক সংস্থা, যা ১৯৬১ সালে ফার্স্ট লেডি জ্যাকলিন কেনেডি প্রতিষ্ঠা করেন। এর উদ্দেশ্য হলো আমেরিকার এক্সিকিউটিভ ম্যানশনের সমৃদ্ধ ইতিহাস রক্ষা, সংরক্ষণ এবং জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা।

এর আগে ২০১৭ সালে ট্রাম্প তার বেতন শিক্ষা বিভাগকে দান করেছিলেন, যাতে একটি সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাথ (STEM) ক্যাম্প আয়োজন করা যায়। হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, ওই অর্থ তরুণ আমেরিকানদের ভবিষ্যতের কর্মসংস্থানের জন্য প্রস্তুত করা ও STEM বিষয়ে আগ্রহ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ব্যয় করা হয়েছিল।

মুমু ২

×