ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৮ আগস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২

অনুমতি না পেয়ে নিজেরাই বোমা আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে ইসরায়েলের বেদুইনরা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:২৪, ৮ আগস্ট ২০২৫

অনুমতি না পেয়ে নিজেরাই বোমা আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে ইসরায়েলের বেদুইনরা

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের দক্ষিণ নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত বেদুইন সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ বোমা আতঙ্কের মধ্যে নিজেদের ও পরিবারের সুরক্ষায় নিজস্বভাবে আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করছে। কাশেম জানে গ্রামের এক বেদুইন, আহমেদ আবু গানিমা, যিনি একটি পুরাতন মিনিবাস মাটি খুঁড়ে তার উঠানে পুঁতে একটি সাময়িক বোমা আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করেছেন। এটি তার পরিবার ও আশেপাশের মানুষের জন্য রকেট আক্রমণের সময় আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার হয়।

নেগেভ কোঅজিস্টেন্স ফোরামের নির্বাহী পরিচালক হুদা আবু ওবাইদ জানিয়েছেন, বেদুইন সম্প্রদায়ের প্রায় দুই তৃতীয়াংশের বোমা আশ্রয়কেন্দ্র নেই। গত মাসে ইরানের সঙ্গে চলা ১২ দিনের যুদ্ধে রকেট হামলার ভয় বাড়ায়, বহু পরিবারই ঘরবাড়িতে থাকা ধ্বংসপ্রাপ্ত সামগ্রী বা পুরাতন ট্রাক, কনটেইনার পুঁতে নিজেরাই আশ্রয় তৈরি করেছে।

বেদুইনদের একটি বড় অংশের বসবাস এমন গ্রামগুলোতে যেখানে সরকারি স্বীকৃতি নেই। তাই তারা বিদ্যুৎ, পানি ও আবর্জনা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। বেশিরভাগ শক্তি আসে সোলার প্যানেল থেকে। 

ইসরায়েলের স্বীকৃত বেদুইন শহর রাহাতে ৭৯ হাজার মানুষের জন্য মাত্র আটটি পাবলিক বোমা আশ্রয় রয়েছে, কিন্তু পার্শ্ববর্তী ইহুদী শহর অফাকিমে ৪১ হাজার মানুষের জন্য ১৫০টি আশ্রয় কেন্দ্র আছে।

অনেক বেদুইনকে মাত্র তিন বর্গমিটার আকারের ছোট ছোট আশ্রয়কেন্দ্রে বা পুঁতে রাখা ট্রাকে একসঙ্গে ৫০ জনেরও বেশি বাস করতে হয়। কেউ কেউ ট্রেনপথের নিচে থাকা ড্রেনেজ কালভার্টে আশ্রয় নেয়, যেখানে তারা ঝাড়পাট দিয়ে কিছুটা গোপনীয়তা তৈরি করে।

অক্টোবর ৭, ২০২৩-এ হামাসের প্রথম হামলায় ২১ বেদুইন নিহত ও ছয়জন বন্দি হয়েছিলেন। এছাড়া ইরানের ২০২৪ সালের আক্রমণে একজন বেদুইন মেয়ের মাথায় গুরুতর আঘাত হয়েছিল।

বোমা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ইসরায়েলে সুনির্দিষ্ট প্রযুক্তিগত নিয়ম রয়েছে, তবে বেদুইনরা যেসব আশ্রয় তৈরি করছে তা সরাসরি আঘাত থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম নয়।

নাজাহ আবু স্মহান, একজন চিকিৎসা অনুবাদক, বলেন, “আমাদের আশ্রয় নিরাপদ নয়, তবে আমাদের কাছে আর কিছু নেই। আমরা শুধু প্রার্থনা করছি।”

মুমু ২

×