
ছবি: সংগৃহীত
গাজা সম্পূর্ণ দখলের পরিকল্পনা প্রকাশের পর থেকেই বহুমুখী সংকটে পড়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। জোটের একাংশ পরিকল্পনাটিকে সমর্থন জানালেও, অপর অংশ করছে তীব্র বিরোধিতা। একই সঙ্গে তেল আবিবে গাজায় অভিযান বন্ধের দাবিতে চলছে লাগাতার জনবিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীরা উপত্যকা দখলের সিদ্ধান্তকে “আত্মঘাতী” আখ্যা দিচ্ছেন।
জোটে বিভক্তি
ইসরাইলের সিকিউরিটি ক্যাবিনেটে এই পরিকল্পনা আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পাওয়ার আগেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন ক্ষমতাসীন জোটের কয়েকটি শরিক দল।
* কট্টর ডানপন্থী ইতামার বেন-গাবির ও বেজালেল স্মোটরিচ নেতৃত্বাধীন “রিলিজিয়াস সায়নিজম” এবং লিকুদ পার্টির বড় একটি অংশ পরিকল্পনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
* অন্যদিকে, আল্ট্রা-অর্থোডক্স ইহুদিদের দল শাস ও ইউনাইটেড টোরাহ জুডাইজম কোনো হারেদি যুবককে যুদ্ধে পাঠাতে রাজি নয়। কিন্তু গাজায় অভিযান চালাতে তাদেরকে বাধ্য করার চেষ্টা করছেন নেতানিয়াহু। এ নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে জোটের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।
জনবিক্ষোভ ও সমালোচনা
গাজা দখলের পরিকল্পনার বিরোধিতা করে বহু সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। তাদের অভিযোগ, জিম্মিদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার বদলে নেতানিয়াহু তাদের জীবনের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন এবং নিরীহ ফিলিস্তিনি শিশুদের অনাহারে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।
এক বিক্ষোভকারীর ভাষায়: “পুরো গাজা দখলের অর্থ হলো—জিম্মিদের মৃত্যু, ফিলিস্তিনিদের মৃত্যু এবং ইসরাইলি সৈন্যদের মৃত্যু। সরকার সৈন্যদের হত্যা করতে ও হত্যার শিকার হতে পাঠাচ্ছে।”
সেনাবাহিনীতে অসন্তোষ
পরিকল্পনাটিকে ঘিরে ইসরাইলি সেনাবাহিনী, বিশেষ করে আইডিএফের ভেতরেও চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। টানা যুদ্ধে ক্লান্ত সেনারা। আইডিএফ প্রধান *হার্জি হালেভি* সতর্ক করেছেন, যেখানে জিম্মিদের রাখা হয়েছে, সেই এলাকায় সেনা প্রবেশ করলে তাদের জীবন মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আইডিএফ প্রধানের মধ্যে তীব্র বিতণ্ডাও হয়েছে।
ছামিয়া