
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমান সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির অপব্যবহার বিশেষ করে নারীদের ও শোবিজ অঙ্গনের তারকাদের প্রতি এক ধরনের নতুন ডিজিটাল সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। ছবি ও ভিডিও বিকৃতি, ডিপফেইকসহ নানা কৌশলে তাদের সম্মানহানি করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমন বাস্তবতায় এবার সরব হলেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে মেহজাবীন জানান, “প্রযুক্তি আজ জীবনের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা অনেকে এর ইতিবাচক দিক নিয়ে আশাবাদী, কিন্তু এর অন্ধকার দিক অস্বীকার করার সুযোগ নেই।”
তিনি সতর্ক করেন, যখন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রযুক্তি ভুল মানুষের হাতে পড়ে, তখন তা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। পোস্টে তিনি লেখেন, “অনেকেই এখন এআই ব্যবহার করে সেলিব্রিটিদের বা নারীদের ছবি ও ভিডিও বিকৃত করছে। এগুলো ইন্টারনেটে ছড়ানো হচ্ছে। অনেকে তা বিশ্বাস করছে, মন্তব্য করছে, অপমান করছে—যা ভীষণ পীড়াদায়ক।”
মেহজাবীন জানান, এই বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে পড়ছে এবং এক শ্রেণির মানুষ এটিকে একটি ‘পেশা’ হিসেবে নিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, “তারা দিনভর এসব ভুয়া কনটেন্ট বানায়, গুজব ছড়ায়, মানুষের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে। এটা শুধু অনৈতিক না, এটা একেবারে অপরাধ।”
এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে তিনি স্পষ্টভাবে ডিজিটাল সহিংসতা হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং দায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। তিনি বলেন, “এআই থামানো যাবে না, তবে এর অপব্যবহার রোধ করা সম্ভব। এজন্য আমাদের প্রয়োজন কঠোর আইন, কঠিন প্রতিরোধ এবং ব্যাপক জনসচেতনতা।”
পোস্টের শেষাংশে মেহজাবীন আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সরকার দ্রুত এমন নীতিমালা ও শাস্তির ব্যবস্থা নেবে, যা নারীদের জন্য একটি নিরাপদ ও সম্মানজনক ডিজিটাল পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
আসিফ