
ছবি: সংগৃহীত
সুস্থ হৃদপিণ্ডের জন্য পুষ্টিকর খাবার অপরিহার্য। চিকিৎসকরা বারবার পরামর্শ দেন, ফলমূল ও শাকসবজি দিয়ে খাদ্যতালিকা সাজাতে। তবে কিছু ফল রয়েছে যা বিশেষ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে অসাধারণ ভূমিকা রাখে।
২০১৬ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ১০০ গ্রাম তাজা ফল খেলে কার্ডিওভাসকুলার রোগের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে যায়। গবেষণায় মূলত আপেল এবং কমলাকে প্রধান ফল হিসেবে ধরা হয়েছিল। বাজারে সহজলভ্য এমন ৩টি ফল সম্পর্কে জেনে নিন যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে দারুণ কার্যকর:
১. আপেল (Apple)
কেন উপকারী: আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পেকটিন নামক ফাইবার এবং ফ্ল্যাভোনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। পেকটিন রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে সাহায্য করে, যা ধমনীতে ব্লক তৈরি হওয়ার প্রধান কারণ। ফ্ল্যাভোনয়েড প্রদাহ কমায় এবং রক্তনালীগুলোকে সুরক্ষিত রাখে, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
কীভাবে খাবেন: প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। সালাদ বা ওটমিলের সাথেও আপেল যোগ করতে পারেন।
২. কলা (Banana)
কেন উপকারী: কলা হলো পটাশিয়াম এর একটি অন্যতম ভালো উৎস। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের একটি প্রধান কারণ। এছাড়াও কলায় রয়েছে প্রচুর ফাইবার, যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
কীভাবে খাবেন: প্রতিদিন সকালে নাস্তার সাথে একটি কলা খেতে পারেন অথবা বিকেলের স্বাস্থ্যকর নাস্তা হিসেবে বেছে নিতে পারেন।
৩. পেয়ারা (Guava)
কেন উপকারী: পেয়ারা ভিটামিন সি এবং ডায়েটারি ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস। এটি রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে খুব কার্যকর। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত পেয়ারা খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। পেয়ারার শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তনালীগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
কীভাবে খাবেন: পেয়ারা সরাসরি খেতে পারেন। এছাড়াও পেয়ারা দিয়ে সালাদ, জুস বা স্মুদি তৈরি করে খেতে পারেন।
এই ফলগুলো ছাড়াও আরও অনেক ফল যেমন জাম, স্ট্রবেরি, আনারস, অ্যাভোকাডো এবং কমলালেবু হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। শুধুমাত্র ফলমূলই নয়, একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং নিয়মিত ব্যায়ামও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
ফারুক