ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

পুলিশকে গুলি করে গির্জায় হামলা, বন্দুকধারী নিহত

প্রকাশিত: ০৮:৩৮, ১৪ জুলাই ২০২৫

পুলিশকে গুলি করে গির্জায় হামলা, বন্দুকধারী নিহত

ছবিঃ সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের লেক্সিংটনে একটি গির্জায় গুলিবর্ষণে দুই নারী নিহত হয়েছেন এবং আরও দুইজন আহত হয়েছেন। এর আগে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তি এক পুলিশ কর্মকর্তার ওপর গুলি চালিয়ে একটি গাড়ি ছিনতাই করে গির্জায় পৌঁছে হামলা চালায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রবিবারের এই ঘটনাটি শুরু হয় সকাল ১১টা ৩৬ মিনিটে (স্থানীয় সময়) ফায়েত কাউন্টির ব্লু গ্রাস বিমানবন্দরের কাছে, যখন এক ট্রাফিক স্টপের সময় এক স্টেট ট্রুপার ওই ব্যক্তির গাড়ি থামান। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন প্লেট নিয়ে একটি অ্যালার্ট পাওয়ার পরই পুলিশ তাকে থামায়। এরপর ট্রুপারকে গুলি করে আহত করে হামলাকারী।

ট্রুপারকে আহত করার পর সন্দেহভাজন একজন গাড়ি যাত্রীকে না মারেই গাড়ি ছিনতাই করে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রিচমন্ড রোড ব্যাপটিস্ট চার্চে পৌঁছায়। সেখানে উপস্থিতদের ওপর গুলি চালায় সে। পরে পুলিশ এসে তাকে গুলি করে হত্যা করে।

লেক্সিংটন পুলিশের প্রধান লরেন্স ওয়েদারস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সন্দেহভাজন ব্যক্তি গির্জা প্রাঙ্গণে উপস্থিতদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, হামলাকারীর গির্জায় উপস্থিত কিছু ব্যক্তির সঙ্গে কোনোভাবে সম্পর্ক ছিল।”

গির্জার চত্বরে দুই নারী ও দুই পুরুষ গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয় কোরোনার অফিস থেকে জানানো হয়েছে, নিহত দুই নারী হলেন ৭২ বছর বয়সী বেভারলি গাম এবং ৩২ বছর বয়সী ক্রিস্টিনা কম্বস। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।

আহত দুই পুরুষকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং অন্যজন স্থিতিশীল আছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

পুলিশ প্রধান আরও জানান, "প্রত্যুত্তরকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে সন্দেহভাজন ব্যক্তি নিহত হন। তাঁর পরিচয় পরিবারের সদস্যদের জানানো হলে প্রকাশ করা হবে।"

কোরোনার অফিসের একজন কর্মকর্তা জানান, গির্জাটি ছোট এবং সেখানে উপস্থিত বেশিরভাগ লোকই আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। “এটি খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের একটি গোষ্ঠী,” তিনি যোগ করেন।

সূত্রঃ বিবিসি 

এই ঘটনার তদন্ত করছে কেন্টাকি স্টেট পুলিশ এবং ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক ইন্টিগ্রিটি ইউনিট।

রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার এক্সে (টুইটারে) লিখেছেন, “এই ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই আমাদের অঙ্গরাজ্য বা দেশে।”

নোভা

×