ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল আদেশে স্থগিতাদেশ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৪০, ১১ জুলাই ২০২৫

ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল আদেশে স্থগিতাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব (birthright citizenship) বাতিল সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কার্যকর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন নিউ হ্যাম্পশায়ারের ফেডারেল বিচারক জোসেফ লা-প্লান্ত। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) তিনি আদেশটি আটকে দেওয়ার পাশাপাশি এটি সংক্রান্ত একটি ক্লাস অ্যাকশন মামলা অনুমোদন করেছেন, যা ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়াতে পারে।

বিচারক লা-প্লান্ত প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদেশে সাত দিনের স্থগিতাদেশও রেখেছেন যাতে সরকার চাইলে আপিল করতে পারে। এই মামলাটি এখন সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পথে রয়েছে, যেখানে সম্প্রতি এক রায়ে বিচারকদের দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞা জারি করার ক্ষমতা সীমিত করা হয়েছিল।

মামলাটি করা হয়েছে একজন গর্ভবতী নারী, দুইজন বাবা-মা এবং তাদের সদ্যোজাত শিশুদের পক্ষ থেকে। বাদীপক্ষের প্রতিনিধিত্ব করছে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (ACLU) এবং আরও কিছু সংস্থা। বাদীপক্ষের একজন আইনজীবী কোডি ওফসি বলেন, “এই আদেশ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রতিটি শিশুকে রক্ষা করবে এক নিষ্ঠুর ও অসাংবিধানিক নির্বাহী আদেশ থেকে।”

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে বলা আছে, “যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী এবং এখানকার অধীনস্থ সকল ব্যক্তি মার্কিন নাগরিক হিসেবে গণ্য হবে।” কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, “subject to the jurisdiction thereof” বাক্যাংশটির মানে দাঁড়ায়— অবৈধ বা সাময়িকভাবে বসবাসকারী ব্যক্তিদের সন্তানদের নাগরিকত্ব দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়।

সরকারপক্ষ যুক্তি দিয়েছে, “ভুল ব্যাখ্যার কারণে অবৈধ অভিবাসনের অনুপ্রেরণা তৈরি হয়েছে, যা দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।” তবে বিচারক লা-প্লান্ত বলেন, যদিও সরকারের যুক্তিগুলো “তুচ্ছ নয়”, তবুও তিনি সেগুলোকে গ্রহণযোগ্য মনে করেননি। তার ভাষায়, “এই আদেশের ফলে নাগরিকত্ব হারানো হবে অপূরণীয় ক্ষতি।”

হন্ডুরাস থেকে আসা একজন নারী বলেন, “আমি চাই না আমার সন্তানকে ভয় আর লুকিয়ে থাকতে হোক। আমি চাই না সে ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্টের টার্গেট হোক।”
অন্য এক ব্রাজিলিয়ান পিতা বলেন, “আমার সন্তানের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার আছে। আমরা পরিবারভিত্তিক আবেদনের মাধ্যমে স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার পথে।”

CASA-এর আইন পরিচালক আমা ফ্রিমপং বলেন, “কেউ যেন এখনই রাজ্য পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত না নেন। আমরা অনেক পথে লড়ছি এই আদেশকে থামাতে, যাতে এটি বাস্তবায়িত না হয়।”

মুমু ২

×