ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

মুসলিম ও ফিলিস্তিনবিরোধী মন্তব্যে আইনপ্রণেতাদের জবাবদিহি চায় CAIR

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ১১ জুলাই ২০২৫

মুসলিম ও ফিলিস্তিনবিরোধী মন্তব্যে আইনপ্রণেতাদের জবাবদিহি চায় CAIR

ছবি: সংগৃহীত

গাজায় পানি সংকট বিপর্যয়কর পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (IRC)। সংস্থাটি জানিয়েছে, ইসরায়েলের টানা বোমা বর্ষণ ও জ্বালানি অবরোধের কারণে ফিলিস্তিনি উপত্যকার পানি সরবরাহ ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। ফলে অধিকাংশ মানুষ দৈনিক প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম পরিমাণ পানি পাচ্ছেন।

IRC-র স্কট লিয়া, যিনি সম্প্রতি গাজা সফর করেছেন, এক বিবৃতিতে বলেন,
“এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিষ্কার পানির অভাব। যেসব মানুষের সঙ্গে আমরা দেখা করছি, তাদের কাছে খাবার নেই, এখন পানি-ও নেই।”

সংস্থাটি জানায়, গাজার মানুষ এখন কেবল পানীয় জলের সংকটেই ভুগছেন না, রান্না, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং গোসলের মতো কাজেও তারা দূষিত ও অনিরাপদ পানি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন। যার ফলে রোগবালাইয়ের ঝুঁকি বাড়ছে মারাত্মকভাবে।

“জ্বালানি শুধুমাত্র পরিবহন বা সরবরাহের বিষয় নয় – এটি একটি জীবনরক্ষাকারী উপাদান,” বলেন স্কট লিয়া।
“জ্বালানি ছাড়া পানি সরবরাহ সম্ভব নয়, নর্দমা ব্যবস্থাপনা অচল হয়ে পড়ে, এবং পরিবারগুলো চরম ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়। এমন পরিস্থিতিতে তাদের মৌলিক প্রয়োজন মেটানোই অসম্ভব হয়ে উঠেছে।”

গাজা উপত্যকায় মানবিক সংকট এখন আরও গভীর হয়েছে। খাদ্য ও ওষুধের পাশাপাশি পানি ও জ্বালানির সঙ্কট এই সংকটকে এক ভয়াবহ রূপ দিয়েছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা কর্মীরা।

 

শেখ ফরিদ 

×