
যুদ্ধবিরতির মাঝেও মার্কিন এবং ইসরাইলি হুমকি মোকাবেলায় আরো শক্তিশালী প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। চীনের প্রেসিডেন্ট শিজিনপিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও এই প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। মালয়েশিয়ায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেরগেই লাভরভের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে মূল আলোচনার বিষয় ছিল ইরান।
বৈঠকে, চীন এবং রাশিয়া উভয়েই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে গভীর আলোচনা করেছে। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, শক্তি প্রয়োগ শান্তির পথে নয়, বরং সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান সম্ভব। ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু শক্তি ব্যবহারের অধিকারিকতার প্রতি চীনের শ্রদ্ধার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
তবে, সাম্প্রতিক সময়ে চীনের অত্যাধুনিক এইচ কিউ নাইনবি এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম এখন ইরানের আকাশে পাহারা দিচ্ছে। তাছাড়া, রাশিয়া ইতিমধ্যেই ইরানের সাথে তাদের সম্পর্ক দৃঢ় করেছে, বিশেষত ইউক্রেন যুদ্ধে ইরানি মিসাইল এবং ড্রোন ব্যবহারের পর। পশ্চিমাদের চাপের মধ্যে, চীন ও রাশিয়া ইরানকে সমরাস্ত্র এবং মানসিক সহায়তা প্রদান করছে।
আরও একটি খবর হলো, চীন এখন ইরানকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান সরবরাহ করছে, যা ইসরাইলের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানকে বড় হুমকির মুখে ফেলবে। সবমিলিয়ে, ইরান, চীন, এবং রাশিয়ার এই সম্পর্ক পশ্চিমাদের জন্য বড় সতর্কবার্তা হতে পারে।
রাজু