ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

আজারবাইজানে তুরস্ক-ইরান রাষ্ট্রপতির বৈঠক: আঞ্চলিক কূটনীতিতে নতুন বার্তা

প্রকাশিত: ১৭:১৪, ৯ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৭:১৫, ৯ জুলাই ২০২৫

আজারবাইজানে তুরস্ক-ইরান রাষ্ট্রপতির বৈঠক: আঞ্চলিক কূটনীতিতে নতুন বার্তা

আজারবাইজানের খানকেন্দি শহরে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা (ইকো)–র ১৭তম শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পাজেশকিয়ান বৈঠকে মিলিত হয়েছেন।

শুক্রবার অনুষ্ঠিত এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি ছিল রুদ্ধদ্বার। এখন পর্যন্ত বৈঠকের বিস্তারিত আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সময় ও স্থান আঞ্চলিক কৌশলগত বার্তা বহন করছে।

কারাবাখের খানকেন্দি শহরে সম্মেলন আয়োজন করা নিজেই একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। এক সময় এই শহর ছিল আর্মেনীয় দখলদার শাসনের রাজধানী। এই শহরে সম্মেলন আয়োজন করে আজারবাইজান একটি প্রতীকী শক্তির প্রদর্শন করেছে, যা অঞ্চলজুড়ে তার আধিপত্য ও ঐক্যের ইঙ্গিত বহন করে।

১৯৮৫ সালে তুরস্ক, ইরান ও পাকিস্তানের যৌথ উদ্যোগে গঠিত ইকো এখন একটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা হিসেবে কাজ করছে। সংস্থার মূল উদ্দেশ্য উন্নয়ন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। বর্তমানে এই সংস্থার সদস্য সংখ্যা ১০টি, যার মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, আজারবাইজান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তান। তুরস্ক-সমর্থিত উত্তর সাইপ্রাস তুর্কি প্রজাতন্ত্র এই সংস্থার পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে যুক্ত আছে।

সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান আবারও জোর দিয়ে বলেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা যাতে পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য তুরস্ক সর্বোচ্চ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে এবং চালিয়ে যাচ্ছে।

এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ও সম্মেলনকে ঘিরে আঞ্চলিক কূটনীতি, নিরাপত্তা ও বাণিজ্যিক ভারসাম্যের ওপর নতুন আলো পড়েছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা, তুরস্ক ও ইরান এই পারস্পরিক সম্পর্ককে কতদূর কাজে লাগাতে পারে।

 

 

 

সূত্র:https://tinyurl.com/4f6czhkf

আফরোজা

×