
ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স কড়াভাবে নিন্দা জানিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বৈঠকের। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) অভিযুক্ত নেতানিয়াহুকে “যুদ্ধাপরাধী” আখ্যা দিয়ে স্যান্ডার্স বলেন, “আজ হোয়াইট হাউজে একজন যুদ্ধাপরাধীকে স্বাগত জানানো হবে। এটা আমেরিকার জন্য এক লজ্জাজনক দিন।”
স্যান্ডার্স আরও বলেন, “ট্রাম্প, তার ডেমোক্র্যাটিক পূর্বসূরি জো বাইডেনের মতোই, গাজায় ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধকে সমর্থন দিয়েছেন। নেতানিয়াহুর চরমপন্থী সরকার যখন পরিকল্পিতভাবে বেসামরিক লোকদের হত্যা ও না খাইয়ে মারছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সমর্থন ও সহযোগিতা করছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, মার্কিন প্রশাসন নেতানিয়াহুর সরকারকে সমর্থন দিয়ে ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অংশীদার হচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতায় এখন পর্যন্ত হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী ও শিশু রয়েছে।
বার্নি স্যান্ডার্স দীর্ঘদিন ধরেই গাজা পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের নীতির সমালোচক হিসেবে পরিচিত। এবার তিনি সরাসরি ট্রাম্প ও বাইডেন উভয়ের মধ্যপ্রাচ্য নীতি এবং ইসরায়েলকে অব্যাহত সামরিক সহায়তা প্রদানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।
তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের উচিত না ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো গণহত্যায় সমর্থন জোগানো, বরং উচিত শান্তি ও ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়ানো।”
এই প্রেক্ষাপটে, নেতানিয়াহুর হোয়াইট হাউজ সফরকে ঘিরে মার্কিন ও আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তার গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আসছে।
শেখ ফরিদ