ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ইসরাইলের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ইঙ্গিত লেখা ছিল কুরআনের আয়াতেই

প্রকাশিত: ১৬:৩২, ১৪ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৬:৩৫, ১৪ জুন ২০২৫

ইসরাইলের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ইঙ্গিত লেখা ছিল কুরআনের আয়াতেই

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে অস্থিরতার আগুন জ্বালিয়ে দিয়েও শান্তির মুখোশ পরে আছে ইসরাইল। তবে কুরআনের সূরা আল-বাকারা যেন আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল এই জাতির প্রকৃত চরিত্র নিয়ে। বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতিশ্রুতি ভাঙা, সত্য গোপন এবং নির্মম আগ্রাসন—সবকিছুই যেন হুবহু মিলে যায় আজকের ইসরাইলিদের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে।

সূরা আল বাকারা’র ৪০ নম্বর আয়াতে বনী ইসরাইল গোত্রকে বলা হয়েছে,
"হে বনী ইসরাইল! আমি তোমাদের যে নেয়ামত দিয়েছি, তা স্মরণ করো এবং আমার অঙ্গীকার পূরণ করো, আমিও তোমাদের অঙ্গীকার পূরণ করব। আর তোমরা শুধু আমাকেই ভয় করো।"
কিন্তু বাস্তবে তারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে, এবং ঈমানের বদলে বেইমানিতে লিপ্ত হয়েছে।

শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, পুরো বিশ্ব আজ ইসরাইলের দমননীতির শিকার। শান্তির নামে চলছে দখল, হত্যা ও নির্যাতন। গাজায় প্রতিদিন বোমা বর্ষণ, শিশু ও নারীর আর্তনাদ, আল আকসা মসজিদে হামলা, মুসল্লিদের উপর গুলি—সবই যেন একটি পরিকল্পিত গণহত্যার অংশ।

সূরা আল বাকারা’র ৪২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে:
"তোমরা সত্যকে মিথ্যা দিয়ে আড়াল করো না এবং জেনে শুনে সত্য গোপন করো না।"
এই আয়াত যেন বর্তমান ইসরাইলের জন্যই অবতীর্ণ হয়েছে। তারা আজ মিথ্যার চাদরে ঢেকে রেখেছে বর্বরতা, অন্যায়ের রূপ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে নিপীড়িত হয়ে আশ্রয় খুঁজতে থাকা ইহুদিদের জন্য আশ্রয় দিয়েছিল ফিলিস্তিনিরাই। কিন্তু সেই মানবিকতাই পরিণত হয়েছে আগ্রাসনের কেন্দ্রবিন্দুতে। আশ্রয়দাতাদের ভূমি দখল করে, তাদেরই রক্ত ঝরিয়ে চলেছে আজকের ইসরাইল।

সম্প্রতি ইরানে ইসরাইলের হামলা এই আগ্রাসনের আরও এক ভয়াবহ অধ্যায়। বেসামরিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ইসরাইল আবারো প্রমাণ করেছে, তারা শান্তি নয়, যুদ্ধ চায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ হামলা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক অবস্থা আরও বিপর্যস্ত করে তুলবে। একে ‘অভিশপ্ত জাতির যুদ্ধঘোষণা’ হিসেবেই দেখছে বিশ্ব।

আঁখি

×