
ছবি: সংগৃহীত
ইসরাইলের আকস্মিক বিমান হামলার জবাবে ভয়াবহ প্রতিশোধ পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। দেশটির এলিট বাহিনী ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানায়, তারা শিগগিরই ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’ নামের একটি সুসমন্বিত সামরিক অভিযান চালাবে। মূল লক্ষ্য—ইসরাইলের বিমানঘাঁটি, রাডার সিস্টেম ও ভূগর্ভস্থ সামরিক স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা।
ইরানের এই অপারেশন মূলত তিনটি ধাপে বাস্তবায়ন হতে পারে:
-
প্রথম ধাপ: ইসরাইলের বিমানঘাঁটি ও রাডার সিস্টেমে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।
-
দ্বিতীয় ধাপ: হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের মাধ্যমে সীমান্ত বরাবর সমন্বিত হামলা।
-
তৃতীয় ধাপ: ভূগর্ভস্থ ঘাঁটি থেকে হাইপারসোনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ।
বিশ্লেষকদের মতে, এই তিন ধাপের অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কতটা কার্যকর তা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠতে পারে।
ইরান জানায়, তারা এখন একযোগে ৬০০টির বেশি হাইপারসোনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে সক্ষম। এই ঘোষণার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি যুদ্ধ প্রকৃত অর্থে শুরু হয়, তবে তা হবে "মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ"।
ইরানি পাল্টা হামলার আশঙ্কায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ইসরাইলে। রাজধানী জেরুজালেমসহ বিভিন্ন শহরের সুপারশপগুলোতে খাদ্য ও পানি মজুদে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। অনেক দোকানে এরই মধ্যে স্টক ফুরিয়ে গেছে।
-
ইসরাইল সরকার জনগণকে সতর্ক করে বলেছে, “সামনে রয়েছে গুরুতর হুমকি। সবাই যেন নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে থাকে।”
-
জরুরি সেবা বিভাগ রক্ত সংগ্রহে জোর দিচ্ছে এবং হাসপাতালে ভর্তি কিছুটা সুস্থ রোগীদের ছেড়ে দিচ্ছে, যাতে জখমদের জন্য শয্যা খালি রাখা যায়।
-
পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি শহরগুলোতে পূর্ণ লকডাউন জারি করা হয়েছে।
ইরান-ইসরাইল উত্তেজনা যেন এক ধাক্কায় পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে টেনে নিয়েছে এক যুদ্ধসন্ধিক্ষণে। শুধু তাই নয়, বিষয়টি প্রভাব ফেলছে আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও বিশ্ব নিরাপত্তায়।
আঁখি