
ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরাইলি বাহিনীর চালানো হামলার পর ইরানের জুমকারান মসজিদের উপরে "রক্তের প্রতিশোধের লাল পতাকা" উত্তোলিত হয়েছে। যা ইসরাইলের হামলার পর ইরানের প্রতিক্রিয়ার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইসলামি ঐতিহ্যে এই লাল পতাকা সাধারণত শহীদদের প্রতিশোধের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে শিয়া মতাবলম্বীদের কাছে এটি ইমাম হুসাইন (র.) ও কারবালার শহীদদের স্মরণে এবং প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে পরিচিত।
জুমকারান মসজিদটি শিয়া মতাদর্শে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ইমাম মাহদির (আ.) সঙ্গে সম্পর্কিত একটি স্থান হিসেবে বিবেচিত। এখানে লাল পতাকা উত্তোলন বিরল হলেও অতীতেও বিশেষ পরিস্থিতিতে এটি দেখা গেছে।
২০০৭ সালে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনার পটভূমিতে শহীদদের স্মরণে এবং সম্ভাব্য যুদ্ধে প্রতিশোধের সংকেত হিসেবে এই পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিলো। ২০২০ সালে জানুয়ারিতে ইরানি জেনারেল কাসেম সোলেইমানির হত্যার পর, জুমকারানে লাল পতাকা উত্তোলন করা হয় যা ইরানের প্রতিশোধের সংকেত হিসেবে ব্যাপক আলোচিত হয়েছিল। সবশেষ গত বছরের আগস্টে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার নিহতের ঘটনায় এই পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিলো।
১৩ জুন ভোর ৩টার দিকে দেশটির রাজধানীতে ছয় থেকে ৯টি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড আইআরজিসি প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি মারা গেছেন। শধু সালামি নন, ইসরাইলের এই হামলায় মৃত্যু হয়েছে ইরানের ছয় পরমাণু বিজ্ঞানীর। এছাড়াও নিহত হয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাঘেরি এবং বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা ঠেকাতে দেশটির পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, ইসরাইল শুধু সামরিক স্থাপনাই নয়, তেহরানসহ আরও কয়েকটি শহরের আবাসিক এলাকাও লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
সজিব