
ছবি :সংগৃহীত
ভারতের বিরুদ্ধে কথিত সামরিক সাফল্য ঘিরে নতুন করে বিতর্কে জড়িয়েছে পাকিস্তান। সম্প্রতি একটি রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে সামরিক অভিযানের 'স্মারক' হিসেবে একটি চিত্রকর্ম উপহার দেন সেনাপ্রধান আসিম মুনির। তবে ছবিটি নিয়ে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা ও উপহাস—কারণ, সেটি আসলে চার বছর আগের একটি চীনা সামরিক মহড়ার ছবি বলে দাবি করেছেন বহু নেটিজেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে বিষয়টি, আর তাতেই ফের ভুয়া প্রপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগে বিপাকে পড়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
অনেকে বলছেন, এটি চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) এক্সারসাইজ থেকে নেওয়া হয়, যা সহজলভ্য গুগল সার্চেই পাওয়া যায়।
একজন এক্স (পূর্বতন টুইটার) ব্যবহারকারী ব্যঙ্গ করে লেখেন, “নিজেদের কোনো আসল ছবি নেই, চীনের ছবি দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে!”
আরেকজন লিখেছেন, “ভুয়া বিজয় তো ছিলই, এবার যোগ হলো ভুয়া ছবি!”
এই ঘটনা সামনে আসার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—যেখানে কোনো প্রকৃত যুদ্ধ হয়নি, সেখানে কীভাবে আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শালের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হলো? কারণ এই পদ সাধারণত কেবলমাত্র যুদ্ধজয়ী সেনাপ্রধানদের দেওয়া হয়ে থাকে।
এর আগে পাকিস্তান দাবি করেছিল, ভারতের বিরুদ্ধে তারা ‘অপারেশন বুনইয়ান’ চালিয়েছে। কিন্তু ভারতের বিভিন্ন সূত্র বলছে, এই অভিযানে বরং পাকিস্তানেরই ড্রোন ও বিমানঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এই নৈশভোজে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও রাজনৈতিক নেতারা। সেখানে জনগণের ‘অদম্য সাহস’ এবং সেনাবাহিনীর ‘অঙ্গীকার’ উদযাপন করা হয়। তবে চীনা ছবি উপস্থাপনের এই ঘটনা সামনে আসার পর পুরো আয়োজনই এখন সামাজিক মাধ্যমে হাস্যরসের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
এখনও পর্যন্ত ভাইরাল হওয়া ছবিটি বা আসিম মুনিরের পদোন্নতি নিয়ে ওঠা সমালোচনার বিষয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কিংবা সরকার—কেউই কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।
সা/ই