ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

অপারেশন সিঁদুর

ভারতীয় মিষ্টির নাম থেকে বাদ পড়লো ’পাক’ শব্দ, শহরজুড়ে ‘মিষ্টি প্রতিবাদ’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:২০, ২৪ মে ২০২৫; আপডেট: ২২:২৩, ২৪ মে ২০২৫

ভারতীয় মিষ্টির নাম থেকে বাদ পড়লো ’পাক’ শব্দ, শহরজুড়ে ‘মিষ্টি প্রতিবাদ’

ছবিঃ সংগৃহীত

পেহেলগামে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা ও ভারতের “অপারেশন সিঁদুর”-এর প্রতিক্রিয়ায় জাতীয়তাবাদের উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন স্তরে। এরই অংশ হিসেবে রাজস্থানের জয়পুরের একাধিক ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকানে শুরু হয়েছে মিষ্টির নাম পরিবর্তনের অভিযান—যেখানে ‘পাক’ শব্দটিকে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে ‘শ্রী’ ও ‘ভারত’–এর মতো সাংস্কৃতিকভাবে গ্রহণযোগ্য শব্দ দিয়ে।

জয়পুরের জনপ্রিয় ‘তিহার সুইটস’-এর মালিক অঞ্জলি জৈন এ উদ্যোগের নেতৃত্ব দেন। তিনি সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, “দেশপ্রেম শুধু সীমান্তে নয়, প্রতিটি ভারতীয়ের হৃদয়ে থাকা উচিত। সেই অনুভূতিকেই আমরা আমাদের মিষ্টির নাম বদলে তুলে ধরতে চেয়েছি।”

নাম পরিবর্তন হওয়া কিছু মিষ্টির তালিকা নিম্নরূপ—

মাইসোর পাক → মাইসোর শ্রী
আম পাক → আম শ্রী
গোঁদ পাক → গোঁদ শ্রী
স্বর্ণ ভস্ম পাক → স্বর্ণ শ্রী
চাঁদিভস্ম পাক → চাঁদি শ্রী
মোতি পাক → মোতি শ্রী

প্রায় ১২৫টির বেশি প্রকারের মিষ্টি বিক্রি হয় ‘তিহার সুইটস’-এ, যা জয়পুরের উৎসবমুখর সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই দ্রুত নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ প্রমাণ করে, কীভাবে জাতীয় রাজনীতি ও সাম্প্রতিক ঘটনা প্রভাব ফেলে ব্যবসায়িক উদ্যোগেও।

শহরজুড়ে ‘মিষ্টি প্রতিবাদ’
শুধু ‘তিহার সুইটস’ নয়, জয়পুরের অন্যান্য জনপ্রিয় মিষ্টির দোকানও এই ধারা অনুসরণ করছে। বহুবছরের পুরোনো ‘বম্বে মিষ্টান ভান্ডার’ এবং ‘অগ্রবাল ক্যাটারার্স’-ও মিষ্টির নাম থেকে ‘পাক’ শব্দ সরিয়ে ফেলেছে।

‘বম্বে মিষ্টান ভান্ডার’-এর জেনারেল ম্যানেজার বিনীত ত্রিখা বলেন, *“এটি আমাদের মিষ্টি, কিন্তু তা একটি দৃঢ় প্রতিক্রিয়া। যারা ভারতের দিকে চোখ তোলে, তাদের নামও মুছে যাবে। প্রতিটি ভারতীয় তার নিজের মতো করে জবাব দেবে।”

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েনে এবার মিষ্টির নামেও ঝড় উঠেছে। নাম বদল হলেও মিষ্টির স্বাদ ঠিকই দেশপ্রেমের মিষ্টতা ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রতিটি গ্রাহকের মনে।

মুমু

×