
ছবিঃ সংগৃহীত
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং মঙ্গলবার লখনউয়ে এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে বললেন, “ভারতীয় সেনাবাহিনী এমনভাবে পাকিস্তানে সন্ত্রাসের ঘাঁটি ধ্বংস করেছে, যেমন একজন অভিজ্ঞ সার্জন রোগের উৎস চিহ্নিত করে সেখানে অস্ত্রোপচার করে।”
লখনউয়ের ড. কে.এন.এস মেমোরিয়াল হাসপাতালের ২৫ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন,
“আমাদের বাহিনী অপারেশন সিন্দুরে ঠিক তেমনই নির্ভুলভাবে কাজ করেছে—যেখানে সমস্যা, সেখানেই আঘাত। একজন সার্জন যেমন অপারেশনের সময় সূক্ষ্মতা বজায় রাখেন, আমাদের জওয়ানরাও তেমনই সতর্ক থেকে কাজ করেছেন।”
চিকিৎসক ও সৈনিক—একই দায়িত্ববোধ
রাজনাথ সিং আরও বলেন, “ডাক্তার ও সৈনিক—দু’জনেই কঠোর প্রশিক্ষণ পায়, চাপের মধ্যে কাজ করে এবং জীবন-মরণ পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কোভিডের সময় চিকিৎসকেরা যেমন সাহসিকতার সঙ্গে লড়েছেন, তেমনই আমাদের সেনারাও অপারেশন সিন্দুরে দায়িত্ব পালন করেছেন।”
“পাকিস্তান সহজে হার মেনে নেয় না”
মন্ত্রী জানান, পাকিস্তান অপারেশনের পর ভারতের বেসামরিক এলাকাগুলোতে এবং ধর্মীয় স্থানগুলোতেও হামলা চালিয়েছিল।
“তারা মন্দির, গুরদ্বারা, গির্জাও ছাড়েনি। তবে আমাদের সেনারা এমনভাবে জবাব দিয়েছে, যাতে একটিও নিরীহ প্রাণের ক্ষতি না হয়।”
তিনি বলেন, “আমরা প্রতিশোধ নিইনি, আমরা রক্ষা করেছি। ওদের আক্রমণের জবাব দিয়েছে আমাদের জওয়ানরা, কিন্তু সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই।”
যোগী আদিত্যনাথের তীব্র মন্তব্য
অনুষ্ঠানে উপস্থিত উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “পাকিস্তান একটা বিকৃতি—যার পরিণতি ধ্বংস হওয়া। সেটা ভারতের হাতে হোক বা নিজের তৈরি সন্ত্রাসের ফাঁদে পড়ে হোক—অবধারিত শেষ তার অপেক্ষায় আছে।”
পেছনের গল্প: অপারেশন সিন্দুর
২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ নাগরিক নিহত হওয়ার পর ভারত "অপারেশন সিন্দুর" চালায়। এই ৪ দিনের অভিযানে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে থাকা সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলোকে নিশানা করে আঘাত হানে ভারতীয় বাহিনী।
মারিয়া