
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে গাজায় সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে ইসরাইলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা। পরিকল্পনার মধ্যে আছে গাজা দখল করা এবং ভূখণ্ডটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা। গাজায় অভিযান বাড়ানোর প্রস্তুতি হিসেবে ইসরাইলে কয়েক হাজার রিজার্ভ সেনা তলব করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
হামাসকে পরাস্ত করা এবং তাদের হাতে বন্দি বাদবাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে চাপ বাড়ানোর লক্ষ্যে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইল।
কয়েকটি খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী সপ্তাহে অঞ্চলটি ভ্রমণ করার পরই কেবল এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা রবিবার সন্ধ্যায় গাজা অভিযান নিয়ে আলোচনায় বসে। গাজায় গত ১৮ মার্চে ২ মাসের যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার পর ইসরাইল সেখানে নতুন করে পূর্ণশক্তি নিয়ে এই অভিযান শুরু করেছিল।
ইসরাইলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার রবিবারের বৈঠকে গাজায় কয়েক মাসে স্থল অভিযান ধীরে ধীরে বাড়ানোর পক্ষে সর্বসম্মত ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম।
বিবিসি জানায়, পরিকল্পনার প্রথম ধাপে গাজার বাড়তি আরও এলাকা দখলে নেবে ইসরাইল। পরে ইসরাইল এবং মিসরের সঙ্গে গাজা সীমান্ত বরাবর ইসরাইলের প্রতিষ্ঠা করা ‘বাফার জোন’ সম্প্রসারণ করা হবে।
এক ইসরাইলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে হারেৎজ পত্রিকা জানিয়েছে, সম্প্রসারিত অভিযানটি আগের অভিযানের মতো হবে না। আগের আক্রমণভিত্তিক অভিযানের বদলে এবার ভূখণ্ড দখলের অভিযান চালানো হবে এবং গাজায় ইসরাইলের স্থায়ী উপস্থিতিও বজায় রাখা হবে।
রবিবার ইসরাইলের নৌঘাঁটি পরিদর্শনের সময় ইসরাইল সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল আজমির জানান, গাজায় অভিযান সম্প্রসারণ এবং জোরদার করার জন্য হাজার হাজার রিজার্ভ সেনা তলব করা হয়েছে।
প্যানেল