ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১

অস্বাভাবিক গরমের মধ্যেই হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

প্রকাশিত: ১৯:৪৫, ১৪ জুন ২০২৪

অস্বাভাবিক গরমের মধ্যেই হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

হজ

সেলাইবিহীন সাদা কাপড় (ইহরাম) পরে মিনার উদ্দেশ্যে যাত্রার মধ্যে দিয়েছে শুরু হয়েছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। সৌদি আরবে এখন বেশ গরম। তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে বলে সৌদির আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। 

শুক্রবার মক্কার হারাম শরিফ অথবা বাসা-হোটেল থেকে হজের নিয়তে হজযাত্রীদের ইহরাম বেঁধে মিনার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই সেই কাজ শুরু হয় বলে সৌদি গেজেট জানিয়েছে। জোহরের নামাজের আগেই মিনায় পৌঁছানোর লক্ষ্য থাকে। এদিকে প্রচণ্ড গরমের কারণে দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত সরাসরি সূর্য এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

সৌদি আরবে গত শুক্রবার থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হয়েছে। সেই অনুযায়ী, আগামী ১৫ জুন আরাফাতের ময়দানে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা হবে। পরদিন কোরবানির মধ্য দিয়ে ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন হবে।

অন্যান্য দেশের হাজিদের সঙ্গে এবার বাংলাদেশের ৮২ হাজার ৭৭২ হাজিও রওনা হন মিনার পথে। এ সময় গুঞ্জরিত হয় তালবিয়া-‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক। লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নালহামদা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়াল মূলক, লা শারিকা লাক।’

মিনায় পৌঁছে হজযাত্রীরা ফজর থেকে শুরু করে এশা অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন নিজ নিজ তাঁবুতে। তবে খায়েফ ও কুয়েতি মসজিদের কাছাকাছি তাঁবু থাকলে মসজিদে গিয়েও নামাজ আদায় করতে পারেন হজযাত্রীরা।

চলতি বছর আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা দেবেন মসজিদুল হারামের জনপ্রিয় ইমাম ও খতিব শায়খ ড. মাহের বিন হামাদ বিন মুয়াক্বল আল মুয়াইকিলি। একইসঙ্গে মসজিদে নামিরাতে নামাজও পড়াবেন তিনি। তবে বাংলাদেশের হজযাত্রীদের তাঁবু বেশ খানিকটা দূরে থাকায় তাদের পক্ষে মসজিদে নামিরায় যাওয়া সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে নিজ নিজ তাঁবুতেই তারা নামাজ আদায় করে নেন।

মূলত ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের দিনকেই হজের দিন বলা হয়। এ দিনের নাম ইয়াইমুল আরাফা। ইসলামের বিধান মোতাবেক, ১০ জিলহজ মিনায় প্রত্যাবর্তনের পর হাজিদের পর্যায়ক্রমে চারটি কাজ সম্পন্ন করতে হয়। 

শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, আল্লাহর উদ্দেশে পশু কোরবানি, মাথা মুণ্ডন করা এবং তাওয়াফে জিয়ারত। এরপর ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান করে প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপ করবেন হাজিরা। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ি তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
 

 এসআর

×