ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তান-আফগানিস্তান দুর্যোগে বিপর্যস্ত ॥ রাশিয়ায় বন্যা

তাপপ্রবাহে পুড়ছে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:০৪, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

তাপপ্রবাহে পুড়ছে ভারত

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে বন্যায় প্লাবিত এলাকায় লোকজন নৌকায় চড়ে যাচ্ছে

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে ভারত। পশ্চিমবঙ্গের সাত জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা উঠেছে ৪২ ডিগ্রির বেশি। প্রচ- গরমে ভারতবাসী যখন ধুঁকছে, ঠিক একই সময়ে লাগাতার বৃষ্টিতে বন্যার কবলে পড়েছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও এর পার্শ্ববর্তী আফগানিস্তান। অতিবৃষ্টি থেকে সৃষ্ট বন্যায় এই দুই দেশে মঙ্গলবার পর্যন্ত অন্তত ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অন্যদিকে রাশিয়ার উরাল এবং দক্ষিণ-পশ্চিম সাইবেরিয়ান অঞ্চলের নদীগুলোতে পানির স্তর দ্রুত বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। কাজাখস্তানের সীমান্তের কাছে টোবোল নদীর তীরবর্তী রাশিয়ার কুরগান অঞ্চলে ৩০০টিরও বেশি বাড়ি ও প্রায় ৭০০ আবাসিক প্লট প্লাবিত হয়েছে। খবর বিবিসি, এএফপি ও এনডিটিভির।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খ- ও কর্নাটকেও তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। তাছাড়া তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি নাকাল অবস্থা পশ্চিমবঙ্গে। ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুষ্ক পশ্চিমা এবং উত্তর-পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। ১৫ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে। আগামী চার-পাঁচদিন পশ্চিমবঙ্গে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকতে পারে।

এছাড়া উপকূলবর্তী অঞ্চলে বাতাসে আর্দ্রতা ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ থাকতে পারে। অন্যদিকে গত তিনদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি ও বজ্রপাতে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ৫৫ জনের। এর মধ্যে পাঞ্জাবে ২২ জন ও বেলুচিস্তানে মারা গেছেন ১২ জন। বাকিরা খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে মারা গেছেন। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে বালুচিস্তানে জরুরি অবস্থা জারি করেছে সরকার। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের অবস্থাও ভালো নয়। রাস্তাঘাট কার্যত পানির নিচে। 
এদিকে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলসহ একাধিক প্রদেশ ভয়ঙ্কর বন্যায় ভাসছে বলে জানিয়েছেন তালেবান সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মুখপাত্র আবদুল্লাহ শেখ। তিনি জানান, বন্যায় আফগানিস্তানে গত তিনদিনে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৬০০-এর বেশি বাড়ি ভেঙে পড়েছে, মারা গেছে ২০০-এর বেশি গবাধি পশু। প্রায় ৮০০ হেক্টর চাষযোগ্য জমি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। পশ্চিম ফারহা, হেরাত, দক্ষিণি জাবুল ও কান্দাহারসহ একাধিক প্রদেশ সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

এরই মাঝে আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েকদিন আরও ভারি বৃষ্টি হবে আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশে। এদিকে টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে রাশিয়ার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, টোবল নদীর পানির স্তর দ্রুত বাড়ছে।

×