অনলাইন ডেস্ক ॥ অ্যামাজন প্রধান জেফ বেজোস-এর সাবেক স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি বেজোস বিবাহ বিচ্ছেদ থেকে যে ৩৭ বিলিয়ন ডলার বা ৩,৫০০ কোটি ডলারের সম্পদ পেয়েছেন, সেটির অর্ধেক তিনি দান করে দেবেন।
এক বিবৃতিতে ম্যাকেঞ্জি বেজোস এ ঘোষণা দেন।
জেফ বেজোসের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর ম্যাকেঞ্জি বেজোস বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনীদের কাতারে চলে আসেন।
নিজের সম্পদের অর্ধেক দান করে দেওয়ার বিষয়টি প্রথমে চালু করেন ওয়ারেন বাফেট এবং বিল গেটস।
মি: বাফেট এবং মি: গেটস পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের আহবান জানিয়েছিলেন যে তারা যেন নিজেদের সম্পদের অর্ধেক কিংবা তার চেয়ে বেশি দান করে দেয়।
জেফ বেজোসের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের আপস-রফা হিসেবে মিস: বেজোস কোম্পানির ৪ শতাংশ শেয়ার অর্জন করেন।
চলতি বছরের শুরুতে জেফ বেজোস এবং ম্যাকেঞ্জি বেজোস দীর্ঘ ২৫ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কের ইতি টানেন।
বিশ্বের শীর্ষ ধনী এখন অনলাইনে কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস।
তার সম্পদের পরিমাণ এখন ১৫০ বিলিয়ন বা ১৫ হাজার কোটি ডলার। তার থেকে অনেকটা পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বিল গেটস, যার সম্পদের পরিমাণ ৯৫ বিলিয়ন ডলার।
তার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি অ্যামাজন এক সময় ছিল অনলাইনে পুরনো বই বিক্রির প্রতিষ্ঠান। আর এখন তা শিগগীরই হতে যাচ্ছে পৃথিবীর প্রথম ট্রিলিয়ন-ডলার কোম্পানি - অর্থাৎ তার মূল্য হবে এক লক্ষ কোটি ডলার।
অ্যামাজনে কেনা যায় না - বোধ হয় সারা দুনিয়ায় এমন কিছুই এখন নেই।
আপনার পোষা বিড়ালের খাবার থেকে শুরু করে বহুমূল্য ক্যাভিয়ার পর্যন্ত সব কিছুই কেনা যায় অ্যামাজনে - বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে।
শুধু তাই নয় অ্যামাজনের আছে স্ট্রিমিং টিভি, এমন কি নিজস্ব এ্যারোস্পেস কোম্পানি - যাতে শিগগীরই মহাশূন্য ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে।
এক বিবৃতিতে মিস ম্যাকেঞ্জি বলেন, "দাতব্য কাজের প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গি অব্যাহত থাকবে। এতে সময়, চেষ্টা এবং যত্ন প্রয়োজন রয়েছে।"
এ পর্যন্ত পৃথিবীর ২৩ দেশের ২০৪ জন ধনী ব্যক্তি, দম্পতি এবং পরিবার তাদের সম্পদের অর্ধেক কিংবা তার চেয়ে বেশি বিভিন্ন দাতব্য কাজে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
২০১০ সালে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। নিউ ইয়র্ক শহরের সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ, সিএনএন-এর প্রতিষ্ঠাতা টেড টার্নার এই তালিকায় আছেন।
সূত্র- বিবিসি বাংলা
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: