ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ইসরাইলের তীব্র হামলা অব্যাহত ॥ ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৭৯

গাজায় তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে ৭০ হাজার শিশু

প্রকাশিত: ২১:০৩, ২৫ মে ২০২৫

গাজায় তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে ৭০ হাজার শিশু

ইসরাইলের অবরোধের কারণে ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার ৭০ হাজারের বেশি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) বরাত দিয়ে রবিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক। এতে করে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫৩ হাজার ৯০০ ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে গাজায় তীব্র স্থল হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। উপত্যকাজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে হাজার হাজার সেনা, যা ইসরাইলের গোটা স্থায়ী বা পেশাদার (রিজার্ভ ফোর্স থেকে আলাদা) সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করে। খবর আলজাজিরার।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, গাজায় নিজেদের সব সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য সামরিক যানবাহন মোতায়েন করেছে ইসরাইল। গাজায় ইসরাইলের গোলানি, প্যারাট্রুপারস, গিভাতি, কমান্ডো, কেফির, নাহাল, ৭ম, ১৮৮তম এবং ৪০১তম ব্রিগেড মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় রাজনৈতিক স্বার্থে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরাইলিদের নিয়ে সবশেষ এক জরিপে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। ইসরাইলে সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২-এ সম্প্রচারিত এক নতুন জরিপে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ইসরাইলি মনে করেন নেতানিয়াহু যুদ্ধে জয়লাভ বা জিম্মিদের মুক্ত করার চেয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে বেশি আগ্রহী। নেতানিয়াহুর প্রধান লক্ষ্য কী বলে মনে করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ৫৫ শতাংশ ইসরাইলি বলেছেন ক্ষমতায় থাকা। ৩৬ শতাংশ বলেছেন জিম্মিদের ফেরত নেওয়া। আর ৯ শতাংশ বলেছেন তারা নিশ্চিত নন। হামাসের কাছে আটক বাকি জিম্মিদের ফেরত আনতে আরেকটি চুক্তি কেন হয়নি, এমন প্রশ্নের জবাবে ৫৩ শতাংশ উত্তরদাতা এটাকে রাজনৈতিক কারণ বলেছেন, ৩৮ শতাংশ বলেছেন যৌক্তিক কারণেই এটা হয়নি। আর ৯ শতাংশ বলেছেন কেন চুক্তি হলো না তারা বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত নন। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার শিশু সংবাদকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক ইয়াকিন হাম্মাদ ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছে। তার মৃত্যুর খবরে ফিলিস্তিনজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড সারাবিশ্বের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় তুলেছে। শিশুদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লাখো মানুষ।

প্যানেল

×