
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় মিয়ানমারের রাখাইনে ফিরে গেছেন। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, ১২ থেকে ১৮ মে সময়ের মধ্যে প্রায় ৮২ জন রোহিঙ্গা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাখাইনের মংডুতে ফিরে গেছেন। এটি ২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের ঘটনা।
ইউএনএইচসিআরের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গারা মংডুতে কৃষিকাজ ও ব্যবসা শুরুর আশায় নিজ দেশে ফিরেছেন। সংস্থাটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আরও ৩০ থেকে ৪০ জন রোহিঙ্গা রাখাইনে ফিরে যেতে আগ্রহী এবং তারা ক্যাম্পে অপেক্ষা করছেন।
এদিকে, রাখাইন রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা। তারা কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাখাইনে আরাকান আর্মির নির্যাতনের ভয়ে রোহিঙ্গারা দলবদ্ধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।
ইউএনএইচসিআরের তথ্যমতে, আরাকান আর্মি কিছু রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসনে সম্মতি দিলেও তারা কী ধরনের আশ্বাস দিচ্ছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। সম্প্রতি এই সশস্ত্র গোষ্ঠী পাঁচজনকে আটক করেছে, যাদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশি ও একজন নিবন্ধিত রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে আরএসও ও আরসার সঙ্গে সম্পৃক্ততার সন্দেহে আটক রাখা হয়েছে।
জাতিসংঘ রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে মানবিক করিডোর স্থাপনের আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে একদিকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন, আরেকদিকে নতুন করে বাংলাদেশে তাদের অনুপ্রবেশ—এই দ্বিমুখী পরিস্থিতিতে দিশেহারা স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষ।
আসিফ