
ছবিঃ সংগৃহীত
সচিবালয় কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই সরকার সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ জারি করেছে।
রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
এর আগে চাকরি সংশোধনী অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। সন্ধ্যায় অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে সচিবালয়ের ভেতরে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ ও মিছিল করেন তারা।
নিবর্তনমূলক ও 'কালা আইন' আখ্যা দিয়ে এই অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
একজন বিক্ষোভকারী বলেন, “যেহেতু তারা আমাদের কথা অমান্য করে এই ধরনের একটা কালো অধ্যাদেশ করেছে, তাই আমাদের গেটে অবস্থান নিতে হচ্ছে, গেট বন্ধ করে দিতে হচ্ছে— যাতে তাদের কানের পর্দা ফেটে যায়।”
আরেকজন বলেন, “কোনো কারণে আপনি কালকে বা পরশু অফিসে আসতে না পারলে পাঁচ দিনের মাথায় কোনো নোটিশ ছাড়াই চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সুযোগ রাখা হয়েছে। সবসময় আমাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হয়, অথচ আমাদের দাসত্বে রাখেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। এটা আমরা মেনে নেব না।”
আরও একজন বলেন, “আমরা এক ঘণ্টার মধ্যেই আন্দোলন প্রত্যাহার করব, যদি উনি ঘোষণা দেন— এই আইন আর থাকবে না।”
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সরকারি চাকরিজীবীদের চারটি বিষয়কে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এর শাস্তি হিসেবে দোষী কর্মচারীকে নিম্ন পদ বা নিম্ন বেতন গ্রেডে নামিয়ে দেওয়া, এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্তও করা যেতে পারে।
তবে আন্দোলনকারীরা মনে করছেন, এই অধ্যাদেশ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং এটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
এদিকে দুপুরে সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, “২০১৮ সালে নির্বাচন কারসাজির জন্য তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার চাকরি আইন সংশোধন করেছিল। এবার সেই সংশোধনী বাতিল করেই আইনে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার একটা সংশোধন এনেছিল যেন নির্বাচন ম্যানিপুলেট করতে পারে। ওই সংশোধনটাই বাদ দেওয়া হয়েছে। আগে যেরকম ছিল, এখন আবার সেই আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া হয়েছে।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আন্দোলনকারীদের রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যাঘাত না ঘটিয়ে আলোচনার মাধ্যমে দাবি আদায়ের পরামর্শ দিয়েছেন।
ইমরান