
ছবিঃ সংগৃহীত
পটুয়াখালীর কৃষি এখন শুধু দেশের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নয়, বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে এখানকার উৎপাদিত মুগ ডাল। চলতি রবি মৌসুমে জেলায় ৮৮ হাজার ৮৯১ হেক্টর জমিতে মুগ ডালের আবাদ হয়েছে, যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার (৮৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর) চেয়েও বেশি।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৮ হাজার ২৩৪ মেট্রিক টন। বাজারে প্রতি কেজি ১০০ টাকা ধরে এর মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৯৮২ কোটি টাকা।
পটুয়াখালীতে মুগ ডালের ফলন ভালো হওয়ার কারণ হিসেবে রয়েছে উর্বর জমি, অনুকূল আবহাওয়া ও কম খরচে বেশি লাভ। কৃষকরা বলছেন, মাত্র দুই থেকে আড়াই মাসে এই ডাল ঘরে তোলা যায়। হেক্টরপ্রতি খরচ গড়ে ৫০ হাজার টাকা হলেও লাভ দ্বিগুণের বেশি। কৃষক মো. আতিক হাওলাদার জানান, এ বছর দুই একর জমিতে চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। কাজী কামাল নামে এক কৃষক এক একরে মাত্র ৬ হাজার টাকা খরচ করে ৬৫ হাজার টাকা লাভ করেছেন।
মুগ ডালের বারী-৬ জাতটি আকারে বড় হওয়ায় এটি অঙ্কুরোদগম করে খেতে পছন্দ করে জাপানের মানুষ। ফলে এ জাতের ডাল নিয়মিতভাবে জাপানে রপ্তানি হচ্ছে। জাপানের একটি কোম্পানি জেলার তালিকাভুক্ত সাড়ে তিন হাজার কৃষকের কাছ থেকে মুগ ডাল সংগ্রহ করে। পাশাপাশি কিছু পরিমাণ ডাল যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও কোরিয়ায়ও।
কৃষি বিভাগ জানায়, মুগ ডাল চাষে স্থানীয়ভাবে বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। অন্য রবি ফসলের তুলনায় কম পরিচর্যা ও কম শ্রমে বেশি লাভ হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন এ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। পটুয়াখালীর মুগ ডাল এখন দেশের অর্থনীতিতেও রাখছে গুরুত্বপূর্ণ
আলীম