ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৬ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

হামাসের বিরুদ্ধে সরব আরব বিশ্ব, কণ্ঠে পশ্চিমাদের সুর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩:১৫, ২৫ মে ২০২৫

হামাসের বিরুদ্ধে সরব আরব বিশ্ব, কণ্ঠে পশ্চিমাদের সুর

ছবিঃ সংগৃহীত

ইসরায়েলের গাজায় বর্বর আগ্রাসনের মুখে কার্যকর প্রতিরোধ না গড়ে উল্টো হামাসকে দুর্বল করতে যেন একজোট হয়ে উঠেছে আরব দেশগুলো। সৌদি আরব, মিশর, জর্ডানসহ একাধিক মুসলিম দেশ গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে হামাসের আত্মসমর্পণ ও স্বাধীনতাকামীদের বিতাড়নের শর্ত দিচ্ছে। এমনকি গাজা পুনর্গঠনের আর্থিক সহায়তা পর্যন্ত হামাসের বিদায়ের সঙ্গে শর্তযুক্ত করছে তারা।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও এ অবস্থানকে আরও জটিল করে তুলছেন। সম্প্রতি লেবানন সফরে গিয়ে সেখানকার ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীদের নিরস্ত্র করার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। বরাবরই হামাসবিরোধী অবস্থানে থাকা এই নেতা গাজায় হামলার জন্য ইসরায়েল নয়, বরং হামাসকে দায়ী করে আসছেন। অনেকের মতে, এটি ফিলিস্তিনি স্বার্থের বিরুদ্ধেই এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা।

অন্যদিকে, সৌদি আরব, মিশর ও জর্ডান ইতোমধ্যে গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলেছে। একাধিক ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে সৌদি আরব হামাসকে সরিয়ে গাজা পুনর্গঠনের প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে। রিয়াদ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, হামাস আত্মসমর্পণ না করলে তারা কোনো আর্থিক সহায়তা দেবে না।

ইসরায়েলি পত্রিকা হারেটজ জানায়, মার্চে জর্ডান গাজায় যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের পাশাপাশি তিন হাজার ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীকে উপত্যকা থেকে বিতাড়নের প্রস্তাব দেয়। একই পথে হাঁটছে মিশরও। এপ্রিলে তারা হামাসকে গাজার শাসনভার ছাড়ার প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানা গেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজায় যুদ্ধ চলছে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে, অথচ আরব দেশগুলো যুদ্ধ থামাতে কার্যকর কোনও উদ্যোগ নেয়নি। বরং পশ্চিমা শক্তির সঙ্গে মিল রেখে গাজার রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পছন্দমতো গড়ে তুলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। এতে করে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা সংগ্রাম আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ছে।

মুমু

×