
রাশিয়ার গ্যাসের ওপর অবশিষ্ট নির্ভরতাটুকুও ছেঁটে ফেলতে মঙ্গলবার একটি রোডম্যাপ প্রকাশ করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তবে আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা না থাকায় রুশ গ্যাসের ইউরোপীয় ক্রেতাদের জন্য চুক্তি থেকে জরুরি ভিত্তিতে সরে আসার মতো আইনি পদক্ষেপ (ফোর্স ম্যাজিউর) নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে। খবর রয়টার্সের। টার্কস্ট্রিম পাইপলাইন এবং এলএনজি সরবরাহের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে এখনো প্রায় ১৯ শতাংশ গ্যাস পাচ্ছে ইউরোপ। ২০২৭ সালের মধ্যে রুশ জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভরতা পুরোপুরি বন্ধ করার একটি অবাধ্যতামূলক লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ইইউ।
এদিকে, ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধাবসান ঘটাতে তোড়জোড় করছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে, পাশার দান অবশ্য উলটে যেতে পারে। তখন রুশ জ্বালানির ওপর বিধিনিষেধ শিথিল হয়ে বাজারে তাদের প্রবেশগম্যতা দ্বার আবারও উন্মুক্ত হতে পারে। পরিকল্পনাটি এমন এক সময় সামনে আসছে যখন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর শান্তি চুক্তির জন্য চাপ সৃষ্টি করছে ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে। যদি এ ধরনের একটি চুক্তি হয়, তবে তা আবার রাশিয়ার জ্বালানি বাজারে প্রবেশের দরজা খুলে দিতে পারে এবং নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারে।
প্যানেল