ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২১ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

হাড়ে ছড়িয়ে পড়া ক্যানসার! বাইডেনের স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন বিতর্ক

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:৫৯, ২০ মে ২০২৫; আপডেট: ২২:০০, ২০ মে ২০২৫

হাড়ে ছড়িয়ে পড়া ক্যানসার! বাইডেনের স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন বিতর্ক

ছবি: সংগৃহীত

জো বাইডেন ঘোষণা করেছেন, তাঁর প্রোস্টেট ক্যানসার হয়েছে। এই খবর সামনে আসার পর ফের প্রশ্ন উঠেছে, হোয়াইট হাউসে থাকার সময় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঠিক কী ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।

রবিবার এক বিবৃতিতে বাইডেনের দপ্তর জানায়, ৮২ বছর বয়সী বাইডেন শুক্রবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেন প্রস্রাবজনিত উপসর্গ নিয়ে, সেখান থেকেই তাঁর ক্যানসার ধরা পড়ে। কিছু চিকিৎসক বিস্ময় প্রকাশ করেছেন যে, এমন একটি আগ্রাসী ক্যানসার যেটি ইতোমধ্যে হাড়েও ছড়িয়ে পড়েছে তা এতদিন ধরা পড়েনি কীভাবে।

অন্যদিকে অনেকে বলছেন, ক্যানসার অনেক সময় উপসর্গ ছাড়াই দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে পুরুষদের সাধারণত নিয়মিত স্ক্রিনিং করা হয় না।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, বাইডেনের উচিত ছিল জনগণের কাছে আরও স্বচ্ছ থাকা। তিনি এমনও ইঙ্গিত দেন কোনো প্রমাণ না দিয়েই যে ক্যানসারের খবরটি আড়াল করা হয়েছিল।

ট্রাম্প বলেন, “আমি সত্যি বলছি, এটা খুব দুঃখজনক। আমি অবাক যে, এতদিন ধরে জনগণকে কিছু জানানো হয়নি। এটা এমন একটা অবস্থা যেটা এই পর্যায়ে পৌঁছাতে বছরের পর বছর লেগে যেতে পারে। এটা সত্যিই দুঃখজনক। আমি খুবই খারাপ বোধ করছি এবং মনে করি মানুষকে জানা উচিত, কী ঘটেছে।”

বাইডেন এখনো ট্রাম্পের এসব মন্তব্যের জবাব দেননি। তবে ডেমোক্র্যাট দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে বাইডেনের অন্যান্য স্বাস্থ্যগত অবনতি লুকানোর চেষ্টা করেছিল তাঁর সহকারীরা।

রিপাবলিকানদের দাবি, ৮১ বছর বয়সে ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বাইডেন মানসিক ও শারীরিকভাবে দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত ছিলেন না। ট্রাম্পের সঙ্গে এক বিতর্কে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর তিনি গত গ্রীষ্মে নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে দাঁড়ান।

‘অরিজিনাল সিন’ নামে একটি নতুন বইতে সাংবাদিক জেক ট্যাপার ও অ্যালেক্স থম্পসন দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন শেষ বছরে বাইডেন অভিনেতা ও ডেমোক্রেটিক দাতা জর্জ ক্লুনিকে চিনতে পারেননি, এমনকি নিজের গুরুত্বপূর্ণ সহকারীদের নামও মনে করতে পারতেন না।

তাঁরা লিখেছেন, “বাইডেনের শারীরিক দুর্বলতা বিশেষত তাঁর জড়তা ভরা হাঁটাচলার মাধ্যমে এতটা প্রকট ছিল যে, তাঁকে হুইলচেয়ারে বসানোর বিষয়েও অভ্যন্তরীণ আলোচনা চলছিল; কিন্তু তারা সেটা নির্বাচন শেষ হওয়ার আগে করতে পারছিল না।”

এই বই ঘিরে তৈরি হওয়া আলোচনায় ডেমোক্র্যাট নেতারা চাপের মুখে পড়েছেন এই প্রশ্নে তাঁরা কেন আগে থেকেই বাইডেনের স্বাস্থ্য নিয়ে ভোটারদের উদ্বেগকে গুরুত্ব দেননি।

সূত্র: বিবিসি

শহীদ

×