ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৬ আগস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২

ক্যান্সার প্রতিরোধী মাইক্রোগ্রীনস বাড়িতেই যেভাব বানাবেন

প্রকাশিত: ২১:২২, ৬ আগস্ট ২০২৫

ক্যান্সার প্রতিরোধী মাইক্রোগ্রীনস বাড়িতেই যেভাব বানাবেন

ছবি: সংগৃহীত

মাইক্রোগ্রিনস হলো সবজি বা ভেষজ জাতীয় গাছের কচি চারা, যা বীজ থেকে গজানোর মাত্র ৪ থেকে ১৪ দিনের মধ্যেই সংগ্রহ করা হয়। দেখতে ছোট হলেও এই সবুজ চারা পুষ্টিগুণে ভরপুর। খুব অল্প সময় ও জায়গায় এগুলো জন্মানো যায়, তাই বাসায় চাইলেই আপনি শুরু করতে পারেন মাইক্রোগ্রিনস চাষ।

এর জন্য খুব বেশি কিছুর দরকার নেই—চিয়া সিড, মুগ বা মসুর ডাল কিংবা সরিষার বীজ নিন। একটি ছিদ্রযুক্ত পাত্রে একটু মাটি বা টিস্যুর উপর বীজ ছড়িয়ে দিয়ে হালকা পানি স্প্রে করুন। প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার পানি স্প্রে করে পাত্রটি অন্ধকার জায়গায় রেখে দিন ৪ দিন পর্যন্ত। এরপরই অঙ্কুরিত চারা খাওয়ার জন্য প্রস্তুত।

এই মাইক্রোগ্রিনস স্যালাডে ব্যবহার করা যায়, বা অন্য কোনো খাবারের সাথে মিশিয়ে রান্নাও করা যায়। চাইলে হালকা ভেজে খেতেও পারেন। গবেষণা বলছে, এই ক্ষুদ্র উদ্ভিদে রয়েছে পটাশিয়াম, আয়রন, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, প্রচুর ভিটামিন, মিনারেলস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

প্রতিদিন মাত্র ১০–১৫ গ্রাম মাইক্রোগ্রিনস খেলে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

একাধিক গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে, মাইক্রোগ্রিনসের পুষ্টিগুণ পরিপক্ব সবজির চেয়ে ৪ থেকে ৪০ গুণ পর্যন্ত বেশি হতে পারে। বিশেষ করে ব্রোকলি মাইক্রোগ্রিনসে থাকা সালফোরাফেন নামক উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর।

সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, বাড়িতে উৎপাদিত এই মাইক্রোগ্রিনস কেমিক্যাল ও কীটনাশকমুক্ত হওয়ায় একেবারেই নিরাপদ ও অর্গানিক। তাই সুস্থ থাকার সহজ উপায় হিসেবে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অল্প পরিমাণে হলেও মাইক্রোগ্রিনস রাখার চেষ্টা করুন। এটি আপনার শরীরকে দিবে অভ্যন্তরীণ শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা—একেবারে প্রকৃতির কোলে বেড়ে ওঠা সবুজ শক্তির উৎস।

শেখ ফরিদ 

×