
ছবি: সংগৃহীত
হার্ট ব্লক (Heart Block) একটি নীরব কিন্তু মারাত্মক হৃদরোগ সমস্যা, যা অনেক সময় কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই ঘটে যেতে পারে। তবে শরীর আগেই কিছু অদ্ভুত লক্ষণের মাধ্যমে সংকেত দেয়, যেগুলোর প্রতি খেয়াল রাখলে সময় থাকতেই চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব। চিকিৎসকদের মতে, হার্ট ব্লক হলে হৃদয়ের বৈদ্যুতিক সংকেতের স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত হয়, ফলে হৃদস্পন্দন ধীর হয়ে পড়ে বা অনিয়মিত হয়ে যায়।
চলুন জেনে নিই হার্ট ব্লকের কিছু অস্বাভাবিক লক্ষণ
১. অতিরিক্ত ক্লান্তি ও অবসাদ
কোনো কারণ ছাড়া যদি আপনি প্রতিদিনই ভীষণ ক্লান্ত বোধ করেন, তবে এটি হার্ট ব্লকের ইঙ্গিত হতে পারে। এমনকি পর্যাপ্ত ঘুমানোর পরও যদি অবসাদ না কাটে, তবে সতর্ক হওয়া জরুরি।
২. হঠাৎ মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
হৃদপিণ্ড ঠিকমতো রক্ত সরবরাহ না করতে পারলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন কম যায়, ফলে মাথা ঘোরা বা হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
৩. বুক ধড়ফড় করা বা হৃদস্পন্দনে অনিয়ম
হার্ট ব্লকের ফলে হৃদয়ের রিদম বা স্পন্দন অনিয়মিত হতে পারে। মনে হবে বুক ধড়ফড় করছে বা স্পন্দন হঠাৎ থেমে যাচ্ছে।
৪. শ্বাসকষ্ট ও বুকে চাপ
বিশেষ করে হাঁটাচলা বা সিঁড়ি বেয়ে উঠলেই যদি শ্বাস নিতে কষ্ট হয় বা বুকের ভেতর চাপ অনুভব করেন, তবে এটি হার্ট সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
৫. হাতে বা পায়ে ঠান্ডা অনুভব
রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হলে হাত-পায়ে ঠান্ডা লাগা বা অবশ হয়ে আসার মতো অনুভূতি দেখা দিতে পারে।
৬. গায়ের রঙ ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া
রক্ত চলাচল কমে গেলে ত্বকে ফ্যাকাসে ভাব দেখা দেয়। বিশেষ করে ঠোঁট ও আঙুলের ডগা নীলচে হয়ে যেতে পারে।
চিকিৎসা কীভাবে সম্ভব?
হার্ট ব্লক হলে একমাত্র চিকিৎসা হল যথাযথ পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনে পেসমেকার স্থাপন। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে ওষুধ ও জীবনধারার পরিবর্তনের মাধ্যমেও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
উপরে উল্লেখিত লক্ষণগুলো একাধিকবার দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত হার্ট স্পেশালিস্টের পরামর্শ নিন। ইসিজি (ECG), ইকোকার্ডিওগ্রাম এবং হোল্টার মনিটরিং-এর মাধ্যমে হার্ট ব্লক নির্ণয় করা যায়। স্বাস্থ্যই সম্পদ, শরীরের ভাষা বুঝুন, হৃদয়কে সুস্থ রাখুন!
আঁখি