
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে তরুণদের মাঝেও হৃদরোগ দ্রুত বাড়ছে—এটি চিকিৎসকদের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানায়, প্রতি বছর প্রায় ১ কোটি ৭৯ লাখ মানুষ মারা যায় হৃদরোগে, যা বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর শীর্ষ কারণ। যুক্তরাষ্ট্রে CDC-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ৭ লক্ষাধিক মানুষ মারা গেছে হৃদরোগে, প্রতি ৩৩ সেকেন্ডে একজন করে।
এর মাঝেই এক আলোচিত বক্তব্য দিয়েছেন মার্কিন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সঞ্জয় ভোজরাজ, যিনি হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগের প্রকৃত কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।
❝ হার্ট অ্যাটাকের আসল কারণ শুধু কোলেস্টেরল নয় ❞
ডা. ভোজরাজ বলেন, “হৃদরোগের মূল কারণ কেবলমাত্র কোলেস্টেরলের পরিমাণ নয়, বরং শরীরে ঘুরে বেড়ানো LDL পার্টিকল। এই লো-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন বা ‘খারাপ কোলেস্টেরল’-এর ক্ষতি হওয়াটাই বেশি বিপজ্জনক।”
কীভাবে LDL ক্ষতিগ্রস্ত হয়?
নিম্নোক্ত কারণগুলো LDL কণাকে অক্সিডাইজড করে দেয়, যার ফলে ধমনিতে জমে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে—
ধূমপান ও তামাক সেবন
ট্রান্সফ্যাট ও প্রসেসড ফুড খাওয়া
ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স ও ডায়াবেটিস
দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস
অনিয়মিত ঘুম ও অতিরিক্ত ওজন
👉 এগুলোর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত LDL ধমনির দেয়ালে জমে গিয়ে প্লাক তৈরি করে, যেটিই হৃদরোগের মূল চালক।
হার্ট ভালো রাখতে করণীয়
🥗 অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া (ফল, শাকসবজি)
🧘 স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করা
🚶♂️ নিয়মিত হালকা এক্সারসাইজ
🚭 ধূমপান সম্পূর্ণ পরিহার
😴 পরিমিত ঘুম
🍳 ট্রান্স ফ্যাট এড়িয়ে স্বাস্থ্যকর চর্বি গ্রহণ
🩺 রেগুলার মেডিকেল চেকআপ
শুধু কোলেস্টেরল কমালেই চলবে না—LDL কেন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেটাই বোঝা জরুরি।
আপনার প্রতিদিনের জীবনযাপনেই লুকিয়ে আছে হার্ট সুস্থ রাখার চাবিকাঠি।
আঁখি