
ছবি: সংগৃহীত
আজকের ডিজিটাল যুগে স্ক্রিনের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরতা ও মোবাইল ফোনের লাগাতার ব্যবহারে চোখের ওপর চাপ বেড়েছে বহুগুণ। ফলে অল্প বয়সেই নানা রকম চোখের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চোখের সুস্থতা রক্ষায় প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে কিছু নিরামিষ খাদ্য, যা প্রাকৃতিকভাবে চোখকে সুরক্ষা দেয় ও দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। নিচে তুলে ধরা হলো এমনই ৫টি নিরামিষ খাদ্য উপাদান—
১. গাজর:
গাজর বিটা-ক্যারোটিনে সমৃদ্ধ, যা শরীরে ভিটামিন ‘এ’-তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন ‘এ’ চোখের রেটিনায় রডোপসিন নামক একটি পিগমেন্ট তৈরিতে সহায়তা করে, যা কম আলোতেও ভালো দেখার জন্য অত্যন্ত জরুরি। গাজর নিয়মিত খেলে রাতকানা ও ভিটামিন ‘এ’ ঘাটতিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধ সম্ভব।
২. পালং শাক:
পালং শাকে আছে লুটেইন ও জিয়্যাজ্যান্থিন—দুটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা চোখে প্রবেশকারী ক্ষতিকর নীল আলো ছেঁকে দেয়। এটি ছানি ও বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন রোধে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৭৫ গ্রাম পালং শাক খেলে চোখের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ম্যাকুলার পিগমেন্টের ঘনত্ব বাড়ে।
৩. ব্রকোলি:
ভিটামিন C, E, বিটা-ক্যারোটিন, লুটেইন ও জিয়্যাজ্যান্থিন সমৃদ্ধ ব্রকোলি চোখে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও প্রদাহ কমিয়ে দৃষ্টিশক্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সবজিটি ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি ও AMD-এর মতো রোগের অগ্রগতি ধীর করে।
৪. অ্যাভোকাডো:
অ্যাভোকাডোতে থাকা লুটেইন ও জিয়্যাজ্যান্থিন রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন একটি অ্যাভোকাডো খেলে লুটেইনের পরিমাণ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে এবং ম্যাকুলার পিগমেন্টের ঘনত্বও বাড়ে, যা চোখের আলো সহনশীলতা বাড়ায়। একইসঙ্গে এটি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও উন্নত করে।
৫. বেল পেপার:
রঙিন বেল পেপার—বিশেষ করে লাল, হলুদ ও কমলা রঙেরগুলো—বিটা-ক্যারোটিনে পরিপূর্ণ, যা ভিটামিন ‘এ’-তে রূপান্তর হয়ে রাতকানা ও চোখ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা দূর করে। এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে, যা দীর্ঘমেয়াদে চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর।
চোখের যত্নে কেবল বাহ্যিক পরিচর্যাই নয়, বরং অভ্যন্তরীণ পুষ্টিও অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এসব নিরামিষ উপাদান রাখলে চোখ থাকবে প্রাকৃতিকভাবে সুরক্ষিত ও সতেজ।
Mily