
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন ডেপো-প্রোভেরা ব্যবহারের পর ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়েছেন শত শত নারী— এমন অভিযোগে ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান ফাইজারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মোট প্রায় ৪০০ নারী একটি সম্মিলিত মামলায় অভিযোগ করেছেন, ফাইজার আগে থেকেই জানত ইনজেকশনটির সঙ্গে মেনিনজিওমা নামক ব্রেন টিউমারের সম্পর্ক রয়েছে, তবে তারা মার্কিন নারীদের এ সম্পর্কে সতর্ক করেনি। অথচ কানাডা ও যুক্তরাজ্যের মতো কিছু দেশে ওষুধটির প্যাকেটেই সতর্কতামূলক লেবেল সংযুক্ত করা হয়েছে।
সম্প্রতি ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল-এ প্রকাশিত ২০২৪ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, ডেপো-প্রোভেরা ইনজেকশন ব্যবহারকারীদের ৫.৬ গুণ বেশি মেনিনজিওমার ঝুঁকি রয়েছে। যদিও এই টিউমার ক্যানসার নয়, তবে এটি মস্তিষ্কে চাপ, মাথাব্যথা, চোখে সমস্যা, এমনকি পক্ষাঘাতের মতো গুরুতর জটিলতা তৈরি করতে পারে।
মামলায় অংশগ্রহণকারী অনেক নারী জানিয়েছেন, তারা অন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিতে সমস্যার কারণে ডেপো-প্রোভেরা বেছে নিয়েছিলেন, কিন্তু ইনজেকশনের এই ঝুঁকি সম্পর্কে কোনো তথ্য তাদের জানানো হয়নি। ভুক্তভোগীদের একজন, অ্যান্ড্রিয়া ফক্স, জানান—দীর্ঘদিন ধরে তিনি মাথা ঘোরা, স্মৃতিভ্রংশ ও স্নায়ুবিক দুর্বলতা অনুভব করছিলেন। পরে পরীক্ষায় মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়ে।
মামলাটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও, এটি যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ নিরাপত্তা, তথ্য স্বচ্ছতা ও ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির দায়বদ্ধতা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
ভুক্তভোগীরা মনে করছেন, দীর্ঘদিনের শারীরিক ও মানসিক কষ্টের পরে এই মামলা তাঁদের ন্যায়বিচারের পথে এগিয়ে নেবে। তবে তারা এটাও বলছেন, কোনো রায়ই বছরের পর বছর ভোগা যন্ত্রণা ফিরিয়ে দিতে পারবে না।
সূত্র: স্টক টাইটান
এম.কে.