
ছবিঃ সংগৃহীত
কোমর ব্যথা বর্তমান সময়ে এক বহুল পরিচিত স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি কেবল বয়স্কদের নয়, তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও দিনে দিনে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বের প্রায় ৮০% মানুষ জীবনের কোনো এক পর্যায়ে কোমর ব্যথায় ভোগেন (WHO, 2023)। কর্মজীবন, দৈনন্দিন অভ্যাস, এবং প্রযুক্তিনির্ভর জীবনধারা এই সমস্যার মূল কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম।
কোমর ব্যথার কারণসমূহঃ
১. পেশি বা লিগামেন্টে টান বা আঘাত: ভারী জিনিস তোলা, হঠাৎ মেরুদণ্ড বাঁকানো বা সঠিক ভঙ্গি না মানলে ব্যথা হতে পারে।
২. ডিস্ক সংক্রান্ত সমস্যা: হার্নিয়েটেড বা স্লিপড ডিস্ক হলে নার্ভে চাপ পড়ে এবং তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়।
৩. সায়াটিকা: কোমর থেকে পায়ের দিকে যাওয়া স্নায়ুতে চাপ পড়লে কোমর থেকে পায়ের পেছন পর্যন্ত ব্যথা হয়।
4. মেরুদণ্ডের অস্থিসন্ধির ক্ষয় (Osteoarthritis): বয়সজনিত সমস্যা হিসেবে এটি সাধারণ।
5. অসচেতন জীবনধারা: দীর্ঘ সময় বসে থাকা, অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার, ব্যায়াম না করা।
উপসর্গ
কোমরে ভারী ব্যথা বা টান লাগা
নড়াচড়া করলে ব্যথা বেড়ে যাওয়া
কোমর থেকে পায়ে ঝিঝি বা ঝাঁকুনি যাওয়া
দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকলে বা বসে থাকলে ব্যথা অনুভব করা
প্রতিকার ও ব্যবস্থাপনা
১. ফিজিওথেরাপি: পেশির স্থিতিস্থাপকতা ফিরিয়ে আনার জন্য সঠিক থেরাপি অত্যন্ত কার্যকর। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ফিজিওথেরাপি কোমর ব্যথার দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
২. ব্যায়াম: যেমন—Pelvic tilt, Cat-Cow stretch, McKenzie extension ইত্যাদি।
৩. গরম বা ঠান্ডা সেঁক: পেশির টান কমাতে সহায়ক।
৪. ঔষধ: ব্যথানাশক, স্নায়ু শিথিলকারী, অথবা ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট।
৫. সঠিক জীবনধারা: সঠিকভাবে বসা, হাঁটা, ভার উত্তোলন, ও ওজন নিয়ন্ত্রণ।
৬. সচেতনতা: কর্মস্থলে সঠিক আসন এবং ব্যায়ামের সুযোগ থাকা জরুরি।
ডা:মো: জুয়েল রানা (পিটি)
বাত, ব্যথা, প্যারালাইসসিস ও ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক
নোভা