
ছবি: সংগৃহীত
অভিভাবকরা সবসময়ই সন্তানদের জন্য সেরা কিছুই বেছে নিতে চান। স্কুল নির্বাচনের সময়ও তারা KHDA বা ADEC-এর মতো প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করেন। তবে শুধু একটি ভালো স্কুল নির্বাচন করাই যথেষ্ট নয়। সন্তানের উত্তম মানুষ হয়ে ওঠা নিশ্চিত করাটাই হওয়া উচিত আপনার সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার।
অনেক অভিভাবকই সন্তানের অবজ্ঞাপূর্ণ আচরণে বিরক্ত। তারা মনে করেন এই সমস্যার কোনো সমাধান নেই, উপেক্ষাই একমাত্র পথ। কিন্তু জানেন কি, খুব বেশি কষ্ট ছাড়াও আপনি সন্তানের আচরণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন?
নিম্নে এমন কিছু আচরণ তুলে ধরা হলো যা সন্তানের মধ্যে অসম্মানবোধ গড়ে তোলে এবং তা থেকে মুক্তির উপায়ও আলোচনা করা হয়েছে—
১. অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানো
সন্তানরা বিরক্ত হয় যখন অভিভাবকরা তাদের ছোটখাটো ভুল বা দুষ্টুমি নিয়ে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখান। অনেক সময় বাবা-মা তাদের শিশু সুলভ আচরণকে ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে তা অন্য পর্যায়ে নিয়ে যান।
সন্তান কী ভাবে:
“বাবা-মাকে কিছু বলার দরকার নেই, তারা কিছুই বুঝবে না।”
আপনি কী করতে পারেন:
তাদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করুন। একজন বন্ধুর মতো আচরণ করুন। যেমন বন্ধুর দুষ্টুমিতে আপনি রাগ করেন না, সন্তানের ক্ষেত্রেও তাই করুন। তারা হয়তো পড়াশোনার চাপে বা অন্য কারণে হাল ছেড়ে দিচ্ছে। বেশি বেশি কথা বলুন, সময় দিন। এটাই ওদের সবচেয়ে দরকার।
২. অন্যের সঙ্গে খারাপ আচরণ দেখানো
আপনি হয়তো অফিসের ঝামেলা, প্রতিবেশীর আওয়াজ বা পরিবারের সমস্যায় বিরক্ত। কিন্তু এসবের প্রকাশ সন্তানদের সামনে করাটা ঠিক নয়।
সন্তান কী ভাবে:
“মা-বাবা যেমন করে, আমিও তাই করব।”
আপনি কী করতে পারেন:
আপনি যেমন সন্তানকে দেখতে চান, নিজেও তেমন হন। আগে একজন ভালো মানুষ হোন, তারপর ভালো অভিভাবক।
৩. “আমার সন্তান কোনো ভুল করতে পারে না” মনোভাব
অনেকে মনে করেন, সন্তানের পক্ষ নেওয়াই ভালোবাসা দেখানোর পথ। কিন্তু এটি সন্তানের জন্য ক্ষতিকর।
উদাহরণস্বরূপ, সন্তান যদি হোমওয়ার্ক নিয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বাজে কথা বলে, তাহলে তার পক্ষ নেওয়া উচিত নয়। এমনকি—যদি আপনি মনে করেন হোমওয়ার্ক বেশি দেওয়া হয়েছে।
সন্তান কী ভাবে:
“যাকে খুশি, তাকে রেগে কিছু বললে সমস্যা নেই।”
আপনি কী করতে পারেন:
শেখান যে কারও সঙ্গে মতের অমিল হলেও শ্রদ্ধা থাকা জরুরি। নিজেদের রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং ভদ্রভাবে মত প্রকাশ করাই শিক্ষিত মানুষের পরিচয়।
৪. ভালো দিকগুলোকে উপেক্ষা করা
সন্তানের প্রতিটি ভালো কাজের প্রশংসা করুন। শুধু দোষ ধরলে বা ভুলগুলো বারবার মনে করিয়ে দিলে তার আত্মবিশ্বাস নষ্ট হবে।
সন্তান কী ভাবে:
“ভালো কিছু করেও লাভ নেই, দোষই শুধু চোখে পড়ে।”
আপনি কী করতে পারেন:
প্রশংসা পেলে শিশুরা ইতিবাচক আচরণে উৎসাহিত হয়। ওদের ভালো দিকগুলো দেখতে শিখুন।
৫. জোর করে সম্মান আদায় করার চেষ্টা
সম্মান একটি অনুভূতি। জোর করে সেটা আদায় করা যায় না। অনেকে মনে করেন, বাবা-মা হওয়ায় সন্তানেরা বাধ্য হয়েই শ্রদ্ধা করবে।
সন্তান কী ভাবে:
“এটা শুধু একটা নিয়ম—শ্রদ্ধা করতে হবে।”
আপনি কী করতে পারেন:
শ্রদ্ধার গুরুত্ব বোঝান, কিন্তু জোর করে আদায় করবেন না। সময় দিন, তাদের বোঝার সুযোগ দিন যে আপনি সবসময় তাদের পাশে আছেন।
: https://www.edsys.in/5-things-parents-should-never-do-to-their-children/
এএইচএ