ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২

বিশ্ব অ্যাজমা দিবস

প্রকাশিত: ১৯:৩৫, ৫ মে ২০২৫

বিশ্ব অ্যাজমা দিবস

প্রতি বছরের ন্যায় মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার পৃথিবীব্যাপী বিশ্ব দিবস পালন হবে। বিশ্বে হাঁপানি রোগীর প্রায় ৭-১০ শতাংশ শিশু এবং প্রায় ৭-৯ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কদের প্রভাবিত করে এবং তাই এটি বিশ্বব্যাপী দেশগুলোতে একটি উল্লেখযোগ্য জনস্বাস্থ্য সমস্যা। যাইহোক, এই ব্যাধি থেকে বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে অনুন্নত দেশগুলোতে। প্রায় প্রতি বছর দুই লাখ থেকে সাড়ে তিন লাখ রোগী হাঁপানি রোগের জটিলতায় মারা যায়।  বিশ্বে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগে আক্রান্ত। এই সংখ্যা বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে আরও ১০০ মিলিয়ন যোগ হতে পারে। বাংলাদেশ প্রায় ৭-৮ মিলিয়ন মানুষ শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগে আক্রান্ত। যার ৭.৫% সাড়ে সাত পারসেন্ট ১-১৫ বছরের শিশু হাঁপানি রোগে আক্রান্ত।
সারা বিশ্ব থেকে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ হাঁপানি নির্মূল করতে প্রতি বছর বিশ্ব হাঁপানি দিবস পালিত হয়। এই দিনটি মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার পালিত হয়। গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ফর অ্যাজমা (এওঘঅ) দ্বারা এই দিনটি একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান হিসেবে পালিত হচ্ছে। এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য মানুষকে অ্যাজমা সম্পর্কে সচেতন করা। বিশ্ব হাঁপানি দিবস প্রথম পালিত হয় ১৯৯৮ সালে।
এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘সকলের জন্য ইনহেলড চিকিৎসা সহজলভ্য করুন’, হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় ইনহেলড ওষুধের আরও ভালো অ্যাক্সেস নিশ্চিত করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।’
অ্যাজমা বা হাঁপানি আসলে শ্বাসনালীর অসুখ। যদি কোনো কারণে শ্বাসনালী অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন ধরনের উত্তেজনায় উদ্দীপ্ত হয়, তখন বাতাস চলাচলের পথে বাধার সৃষ্টি হয়, ফলে শ্বাস নিতে বা ফেলতে কষ্ট হয়।
বর্তমানে বংশগত কারণের চেয়ে পরিবেশগত কারণেই অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীর সংখ্যা দিন-দিন বাড়ছে। মূলত শিশু ও বয়স্করাই অ্যাজমায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
একটা সময় জন্মগত অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা বেশি ছিল। এখন পরিবেশদূষণ, বায়ুদূষণ, রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারের কারণে অ্যাজমা রোগী বাড়ছে।
অ্যাজমা বা হাঁপানি হলো শ্বাসনালীর এক ধরনের অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া। বংশানুক্রমিকভাবে এই রোগে আক্রান্ত সন্তান, যাদের শ্বাসনালী খুবই সেনসেটিভ, বিভিন্ন উত্তেজক বস্তু বা অ্যান্টিজেনের সংস্পর্শে এসে উত্তেজিত হয়ে ফুলে ওঠে। এর ফলে তাদের শ্বাসনালীর মধ্যে কফের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং শ্বাসনালী সংকুচিত হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় শুরু হয় লাগাতার কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ ইত্যাদি।
অ্যাজমা কেন হয় : হাঁপানির কারণ সুনির্দিষ্ট করে বলা যায় না। তবে কতগুলো বিষয় রয়েছে, যেগুলো হাঁপানি রোগের উৎপত্তি ও স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে থাকে।
* এ রোগ জেনেটিক বা বংশগত কারণে হতে পারে। বংশে কারও এ রোগ থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের যে কারও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
* পশুর লোম, আরশোলা, রেণু, ছত্রাক প্রভৃতি হাঁপানির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। * বায়ুদূষণ, সিগারেটের ধোঁয়া, কারখানার বিভিন্ন উত্তেজক পদার্থ, রঙের ঝাঁজালো গন্ধ, ঠান্ডা হাওয়া, ঝাঁজালো মসলা প্রভৃতির কারণে হাঁপানির আশঙ্কা বেড়ে যায়। * বিভিন্ন ব্যথানাশক ওষুধ, অ্যাসপিরিন, হেরোইন প্রভৃতির অতি ব্যবহারের কারণে হাঁপানি হতে পারে। * মানসিক চাপ, অতিরিক্ত আবেগপ্রবণতাও অনেক ক্ষেত্রে হাঁপানির তীব্রতা বাড়াতে পারে। * সাধারণত শিশু বয়সে ছেলেদের এ রোগ হয় এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক হলে এ রোগ বেশি হয়। * কারও কারও ক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের খাবার, যেমন গরুর মাংস, চিংড়ি, ইলিশ, বেগুন- এসব খেলে হাঁপানির মাত্রা বাড়তে পারে।
কখন বাড়ে :  ঘরবাড়ির ধুলা, ময়লা, মাইটেপোড়া, ফুলের রেণু, পাখির পালক, জীব-জন্তুর পশম, ছত্রাক ইত্যাদি অ্যালার্জিজনিত পদার্থ থেকে হাঁপানি হতে পারে। ফ্রিজের ঠান্ডা পানি, আইসক্রিম বা অন্যান্য ঠান্ডা পদার্থও হতে পারে হাঁপানি।
উপসর্গ : * শ্বাস নিতে ও ছাড়তে কষ্ট * বুকের ভেতর বাঁশির মতো সাঁই সাঁই শব্দ * বুক ভার হয়ে থাকা * দম বন্ধ ভাব * ঘনঘন কাশি কিভাবে অ্যাজমা রোগ নির্ণয় করা সম্ভব? অ্যাজমা নির্ণয় মূলত চিকিৎসার ইতিহাস এবং একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ শারীরিক পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে সম্ভব। যাদের এই রোগ রয়েছে তাদের সাধারণত অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, অ্যালার্জি, শ্বাসকষ্ট, কাশি এবং ব্যায়ামের সময় বা রাতে শুয়ে শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়ার দীর্ঘস্থায়ী ইতিহাস থাকে। যখন এই অবস্থাগুলো ওষুধের দ্বারা উপশম হয়, তখন এটি বোঝা যায় যে ব্যক্তি উক্ত রোগে ভুগছেন।
কিছু পরীক্ষামূলক পদ্ধতি রোগ নির্ণয়ে সহায়তা করে
স্পাইরোমেট্রি : এটি ফুসফুসের কার্যকারিতা পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয় যখন একজন ব্যক্তি একটি টিউবে শ্বাস নেয়। ত্যাগ করা নাইট্রিক অক্সাইডের পরিমাপ (ঋবঘঙ) : এটি একটি সাধারণ শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম দ্বারা সঞ্চালিত হয়। নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় নাইট্রিক অক্সাইডের বর্ধিত মাত্রা ‘অ্যালার্জিক’ প্রদাহের ইঙ্গিত দেয়, যা অ্যাজমাতে দেখা যায়।
মেথাকোলিন চ্যালেঞ্জ পরীক্ষা : এই পরীক্ষাটি শ্বাসনালীর হাইপার- প্রতিক্রিয়াশীলতা শনাক্ত করে।
চেস্ট ইমেজিং : এই পরীক্ষায় উচ্চ প্রদাহ দেখা যেতে পারে এবং হৃদযন্ত্র পরীক্ষার মতো অন্যান্য অবস্থাকে বাদ দিতে সাহায্য করতে পারে, এছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয়।
রক্ত পরীক্ষা : এটি অ্যাজমার প্রকারভেদ করতে সাহায্য করে। রক্ত পরীক্ষা অ্যালার্জিজনিত অ্যান্টিবডি (ওমঊ) বা ইওসিনোফিল নামক বিশেষায়িত শ্বেত রক্তকণিকার মাত্রা জানতে সাহায্য করে যা অ্যালার্জিজনিত বা বহিরাগত অ্যাজমার সঙ্গে যুক্ত।
চিকিৎসা : * হাঁপানির হাত থেকে সুস্থ থাকার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, যে জিনিসে অ্যালার্জি তা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা। * স্টেরয়েড যেমন লোমেথাসন, বুডিসনহিড, গ্লুটিকাসন ইত্যাদি ওষুধগুলো সব সময় ব্যবহার করতে হয়। * অ্যাজমা চিকিৎসার এগুলো হচ্ছে মূল ওষুধ। যেমন সালবিউটামল, টারবিউটালিন এগুলো তাড়াতাড়ি শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি দেয়। কিন্তু এগুলো শুধু শ্বাসকষ্ট, কাশি বা বুকে চাপ হলে ব্যবহার করতে হবে।
* শিশু হাঁপানিতে আক্রান্ত হলে তাকে সাধারণত ওষুধ ইনহেলার বা স্প্রের মাধ্যমে দেওয়া হয়। একজন ছোট শিশুর থেকে বিশেষ ধরনের মাস্ক ব্যবহার করা হয়।
* গর্ভাবস্থায় হাঁপানি হলে উচ্চরক্তচাপ, প্রিটাম লেবার, প্রিএকলামাসিয়া এবং শিশুর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তাই মা ও সন্তানের ভালো স্বাস্থ্যের জন্য অ্যাজমা তাড়াতাড়ি সারিয়ে তোলা।
হাঁপানির চিকিৎসায় ইনহেলার
আমাদের দেশে এখনো যে কয়েক ধরনের ইনহেলার পাওয়া যায়, তার মধ্যে সবচেয়ে সুলভ ও বহুল ব্যবহৃত ইনহেলারটি হচ্ছে এমডিআই বা মিটার্ড ডোজ ইনহেলার। এখানে ওষুধের তরল ক্ষুদ্র কণা (১-৫ মাইক্রোমিটার) অ্যারোসল আকারে ফুসফুসে প্রয়োগ করা যায়।
এমডিআই প্রয়োগের কৌশল
মিটার্ড ডোজ ইনহেলার প্রয়োগের ধাপগুলো নিচের মতো। * ইনহেলারের মাউথপিসের ঢাকনা খুলুন।
* চিবুক উঠিয়ে সোজা সামনের দিকে তাকান।
* ধীরে শ্বাস ত্যাগ করুন এবং বুকের সব বাতাস বের করে দিন। * এবার ইনহেলারের মাউথপিসটি দাঁতের ফাঁকে রেখে ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরুন, যেন ফাঁক না থাকে।* এবার ধীরে ধীরে নিশ্বাস নিতে থাকুন এবং ক্যানিস্টারে দৃঢ়ভাবে চাপ দিয়ে অ্যারোসল ফুসফুসে টেনে নিন।
* নিশ্বাসে বুক ভরে গেলে ইনহেলার মুখ থেকে সরিয়ে ফেলুন এবং ৫-১০ সেকেন্ড শ্বাস বন্ধ করে রাখুন, যেন ওষুধ ফুসফুসের শ্বাসনালীতে জমা হয়।
* এবার স্বাভাবিক শ্বাস নিন। এভাবে রোগীর এক পাফ বা টান ওষুধ নেওয়া হয়।
* যদি ২ পাফ নিতে হয়, তবে অন্তত ৩০ সেকেন্ড পর প্রক্রিয়াটি পুনরায় করুন। তারপর ইনহেলারের ঢাকনাটি দিয়ে মাউথপিসটি বন্ধ করে রাখুন।
* স্টেরয়েড ইনহেলার ব্যবহারের পর মুখে পানি নিয়ে কুলকুচা করে পানি ফেলে দিন। পানি গেলা যাবে না। এতে মুখে জমে থাকা ওষুধ পরিষ্কার হয়ে যাবে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে।
ইনহেলারের মেয়াদ কত দিনের
* এমডিআই উৎপাদনের পর দুই বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকে। ব্যবহার শুরু করে দিলে ছয় মাসের বেশি কার্যকর থাকে না। অতিরিক্ত ও সরাসরি সূর্যরশ্মি থেকে দূরে রাখতে হবে। ঘরের তাপমাত্রা ২০-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখতে হবে।
* এমডিআইয়ের ডোজ কাউন্ট ছাড়া ইনহেলার কখন খালি হয়, তা বোঝার উপায় নেই। এ ক্ষেত্রে ইনহেলারে কতটা ডোজ ছিল এবং কত দিন যাওয়া উচিত, এভাবে হিসাব রাখতে হবে।
ঔষধের মধ্যে মূলত দু’ধরনের ওষুধ অ্যাজমা তে কার্যকরী-উপশমকারী এবং প্রতিরোধক! উপশমকারী ওষুধ সাময়িক আরাম দেয়, প্রতিরোধক ওষুধ রোগের ধরন বা প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, ভবিষ্যৎ অ্যাজমা এটাকে প্রতিরোধ করে, ক্ষেত্রবিশেষে কমবয়স্ক রোগীদের অ্যাজমা নিরাময়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে! মুখে খাওয়ার ওষুধ থাকলেও অ্যাজমাতে ইনহেলারই সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখে! উপশমকারী ইনহেলারগুলো সাধারণত নীল রঙের এবং প্রতিরোধকারী ইনহেলারগুলো সাধারণত গোলাপি বা বেগুনি রঙের হয়ে থাকে! এই কালার কোড অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর মেডিসিন হিস্ট্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের সুবিধা দেয় অ্যাজমা রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় যে ইনহেলার সেটি হচ্ছে উপশমকারী ইনহেলার বা ব্লু ইনহেলার যাতে আছে সালবিউটামল-দাম তুলনামূলক সবচেয়ে কম এবং খুব দ্রুত কাজ করে শ্বাসকষ্ট অনেক সময় মুহূর্তে কমিয়ে আনতে পারে এটি, এ কারণে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ বা ফলোআপ আর না করে মোবাইলের মতো ব্যাগে বা পকেটে এটিকে নিত্যসঙ্গী বানান-চিকিৎসা বন্ধ রেখে বা অনিয়ম করে শ্বাসকষ্ট বাড়ান এবং সে সময় ব্লু ইনহেলার ব্যবহার করে সাময়িক আরাম নিশ্চিত করেন। গবেষণা বলছে, সঠিক চিকিৎসা অনুসরণ যদি কেউ না করে এবং এর জন্য যদি কাউকে সালবিউটামল ইনহেলার (বা ব্লু ইনহেলার) গড়ে প্রতিদিন দুই চাপ করে মোট দুইশ চাপ (এক ক্যানিস্টার বা এক ইনহেলার=দুইশ চাপ) ইনহেলার ৩ মাসের মধ্যে নিতে হয়, তাহলে তার ভবিষ্যতে তীব্র অ্যাজমা এটাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে অনেক বেশি।
অ্যাজমা প্রতিরোধের উপায়
-অ্যাজমা থেকে সুস্থ থাকতে হলে অ্যালার্জি এড়িয়ে চলতে হবে।
-অ্যাজমার ওষুধ বা ইনহেলার সবসময় হাতের কাছে রাখুন।
-ভিটামিন-এ জাতীয় খাবার, কলিজা, গাজরসহ শাক-সবজি ও মধু খাবেন।
-নিয়মিত চেকআপ করাবেন।
-নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করতে পারেন।
-ধূমপান ও ধুলোবালি এড়িয়ে চলুন।
-বালিশ লেপ তোশক-পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
-ঘরে কার্পেট ব্যবহার না করা।
-ঠাণ্ডা খাবার আইসক্রিম ইত্যাদি না খাওয়া।
-বাড়িতে পোষা প্রাণী (কুকুর, বিড়াল) থাকলে নিয়মিত গোসল করাতে হবে বা পরিচ্ছন রাখতে হবে।
-মানসিক চাপ, উৎকণ্ঠা এড়িয়ে চলতে হবে।
অ্যাজমা রোগী চিকিৎসায় সমাজে ও মা বাবার ভ্রান্ত ধারণা -সবচেয়ে বড় ভুল ধারণাটি হচ্ছে, অ্যাজমা কখন ও শিশুদের হয় না। অ্যাজমা রোগীরা ভারী কাজ করতে পারে না, খেলাধুলা করতে পারে না। কিন্তু রোগীরা স্বাভাবিক মানুষের মতো জীবন যাপন করতে পারবে।
আরও একটি ভুল ধারণা রয়েছে এর চিকিৎসাপদ্ধতি নিয়ে।অনেকে মনে করেন, অ্যাজমার চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল এবং অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এ ধরনের ভুল ধারণার জন্য অনেক রোগীর চিকিৎসা মারাত্মক ব্যাহত হয়। অ্যাজমার চিকিৎসায় যে একেবারেই কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই, তা বলা যাবে না। তবে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার পরিমাণ খুবই সামান্য।
ইনহেলার আজমা রোগী শেষ চিকিৎসা। কিন্তু ইনহেলার আজমা রোগীর প্রথম চিকিৎসা।
ডা. মো. কামরুজ্জামান, কামরুল
সহযোগী অধ্যাপক
পেডিয়েটিক্স পালমনোলজি বিভাগ

প্যানেল

×