
ছবি: সংগৃহীত
তাজা, রসালো আর পুষ্টিগুণে ভরপুর—গ্রীষ্মকালের সবচেয়ে ঠান্ডা ও উপকারী খাবারের তালিকায় শসা নিঃসন্দেহে শীর্ষে। সালাদে, স্মুদি-তে বা এমনকি শুধু লবণ মেখে—যেভাবেই খান না কেন, শসা শরীরকে শুধু ঠান্ডাই রাখে না, বরং স্বাস্থ্য রক্ষায়ও দারুণ ভূমিকা রাখে। চলুন জেনে নিই, এই সাধারণ সবুজ ফলটি আমাদের শরীরের জন্য কী কী উপকার করে:
১. শরীরকে রাখে হাইড্রেটেড
শসার প্রায় ৯৫% অংশই পানি, যা গরমকালে শরীরকে আর্দ্র ও ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
২. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
কম ক্যালোরি ও বেশি পানিযুক্ত শসা খেলে পেট ভরা থাকে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়া কমে যায় ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩. হজমে সহায়তা করে
শসার আঁশ হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও পেটকে স্বস্তি দেয়।
৪. প্রাকৃতিক ডিটক্স হিসেবে কাজ করে
শসা শরীর থেকে টক্সিন বা বিষাক্ত উপাদান বের করতে সাহায্য করে, বিশেষত যকৃত ও কিডনিকে পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে।
৫. ত্বককে প্রশমিত করে
শসায় রয়েছে সিলিকা ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা ত্বকের ফোলাভাব কমায়, জ্বালাভাব দূর করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
৬. রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে
গবেষণায় দেখা গেছে, শসা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
৭. হৃদয়কে রাখে সুস্থ
শসায় থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে ও হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষা দেয়।
৮. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর
শসায় আছে ফ্ল্যাভোনয়েড ও ট্যানিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের কোষকে রক্ষা করে ও বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।
৯. অতিরিক্ত গরম থেকে স্বস্তি দেয়
শসার শীতল প্রকৃতি শরীরের অতিরিক্ত তাপ কমাতে সাহায্য করে এবং আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও এটি ঠান্ডা বৈশিষ্ট্যের খাবার হিসেবে বিবেচিত।
১০. ফাইটোকেমিক্যালে সমৃদ্ধ
শসায় রয়েছে প্রাকৃতিক উদ্ভিজ্জ যৌগ (ফাইটোকেমিক্যাল), যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, প্রদাহ কমায় এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
এই গরমে নিজেকে ঠান্ডা, সতেজ ও সুস্থ রাখতে শসা হতে পারে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকার একটি অপরিহার্য উপাদান।
এসএফ