ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

ঘনঘন প্রস্রাব কেন হয়? সমাধান কী?

প্রকাশিত: ১০:০৮, ৩১ মার্চ ২০২৫

ঘনঘন প্রস্রাব কেন হয়? সমাধান কী?

ছবি: সংগৃহীত

ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া একটি অস্বস্তিকর ও কষ্টকর উপসর্গ। এর কারণ কী? এটি কী কোনো রোগের লক্ষণ?

সারাদিনে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ৫-৬ বার প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক। আমাদের মূত্রথলির ধারণক্ষমতা ২৫০ সিসি। এর সমপরিমাণ হলেই প্রস্রাবের বেগ হয়। আর এর বেশি হলেই ঘনঘন প্রস্রাব হয়।

কেউ যদি ৫ বার প্রস্রাব করে তাহলে তা স্বাভাবিক। এর বেশি হলে, রাতে উঠে উঠে প্রস্রাব হওয়া এগুলো বিরক্তিকর। এর কারণে ঘুম ও অন্যান্য কাজে ব্যাঘাত ঘটে।

ঘনঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ:

১. কিডনির সমস্যা থেকে হতে পারে

২. দীর্ঘদিন কোনো রোগে আক্রান্ত থাকলে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেসে হতে পারে

৩. জীবনযাত্রার পরিবর্তন বা অনিয়মের কারণে

তবে আরো জটিলতা দেখা দেয় যদি-

১. প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া হয়

২. অল্প অল্প প্রস্রাব হওয়া

৩. সম্পূর্ণ প্রস্রাব না হওয়া

৪. প্রস্রাবের রং লালচে বা ঘোলা হয়ে যাওয়া

৫. কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা

৬. নাভির উল্টোদিকে মেরুদন্ডের দুই পাশে ব্যাথা হওয়া এগুলো প্রস্রাবে ইনফেকশন মূত্রতন্ত্রের প্রদাহের লক্ষণ।

৭. আবার কারো যদি কোমর বা তলপেটের যেকোনো একপাশে ব্যাথা হয় ও সাথে রক্ত যায়, তাহলে বুঝতে হবে তার পাথর হয়েছে এবং তা নিচে নেমে এসে প্রস্রাবে বাধা দিচ্ছে।

৮. কারো যদি প্রথমদিকে লালচে মূত্র আর শেষের দিকে রক্ত আসে তাহলে এটি ক্যান্সারের লক্ষণ বোঝায়।

৯. নারীদের মেনোপোজ হয়ে গেলে বা যাদের স্বাভাবিক ডেলিভারি হয়েছে তাদের জরায়ু নিচে নেমে আসে। ফলে কিছু প্রস্রাব থেকে যায় এবং বারবার প্রস্রাব হয়। তাদের ইনফেকশনের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাদের ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

১০. পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে গেলে প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দেয়। এই অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ঔষধ দিয়ে না সারলে অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এখন লেজারের মাধ্যমে করা হয় বলে আগের তুলনায় ঝুঁকি কম থাকে।

সূত্র: https://youtu.be/QorFJsP2nAI?si=kmyalbXPLl5rGD0w

মায়মুনা

×