ফাইল ফটো
শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে নানা ধরনের রোগ হতে পারে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের মতে, সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টার মধ্যে সপ্তাহে কমপক্ষে তিন দিন ১০ থেকে ৩০ মিনিট সারা গায়ে রোদ লাগিয়ে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাওয়া সম্ভব। শরীর ঢেকে রাখলে, সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে এই ভিটামিন ডি উৎপাদন কম হবে।
শিশু ও বয়স্কদের ভিটামিন ডি একটু বেশি লাগে, অন্যদের প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৮০০ ইউনিট দরকার।
রিকেট নামটার সঙ্গে কমবেশি আমরা সবাই পরিচিত। এটি শিশুদের এক ধরনের হাড়ের রোগ। এতে শিশুর হাত-পা বেঁকে যায়। ভিটামিন ডির অভাবে এই রোগ হয়। বড়দের হয় অস্টিওম্যালেসিয়া। এই রোগীদের গা, হাত-পা, হাড়ে ব্যথা হতে দেখা যায়।
ভিটামিন ডির অভাব থাকলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অস্টিওপোরোসিস বা হাড় ভঙ্গুর হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। অল্প আঘাতেই হাড় ভেঙে যেতে পারে। ভিটামিন ডির ঘাটতি থেকে হাড়ের এসব সমস্যা ও রোগ ছাড়া আরও নানা রকমের জটিলতা দেখা দিতে পারে।
যেমন- হার্টের সমস্যা, নানা ধরনের ক্যানসার, মেটাবলিক সিনড্রোম, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়া। সংক্রমণ ও অটোইমিউন রোগের ঝুঁকি ও প্রকোপ বাড়াতে ভূমিকা রাখে ভিটামিন ডির ঘাটতি।
যাঁদের পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি ছিল, তাঁদের কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রকোপ ও জটিলতা যে কম হয়েছে, তা গবেষণানির্ভর সত্য।
এসআর